গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউন চলাকালীন দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও কোভিডে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। ফের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শো পার করল। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জন আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। তবে সপ্তাহ তিনেক পর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১৭ হাজার ৮৮৩ হয়েছে। যদিও সংক্রমণের মোট হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭২ শতাংশে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ১৫৩ জন মৃতদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার পরেই দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ি। ওই জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, হুগলি এবং নদিয়াতে ৭ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে ৬, হাওড়ায় ৫, বীরভূম, এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৪ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। দার্জিলিং এবং পুরুলিয়া ২ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৪ হাজার ৫১৭ জনের কোভিডে মৃত্যু হল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
৫ মে-তে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বুলেটিন জানিয়েছিল যে তার আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৮ হাজার ১০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার পর থেকে ক্রমশই দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। তবে অনেকের মতে, লকডাউনের বিধিনিষেধের ফলে রাজ্যে নতুন সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত যথাক্রমে ৩ হাজার ৭৯৩ ও ৩ হাজার ১২১। সেই সঙ্গে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১,২০৫), হাওড়া (১,১৯৬), হুগলি (১,১৬৯), নদিয়া (১,০৯৮), পশ্চিম বর্ধমান (৭২৯), বাঁকুড়া (৫৮৮), পূর্ব মেদিনীপুর (৬৯২), জলপাইগুড়ি (৫৯২), পূর্ব বর্ধমান (৫২৭), পশ্চিম মেদিনীপুর (৫৬৪), দার্জিলিং (৫৫৩) জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ বা তার বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৭৩ জন।
সংক্রমণে রাশ টানতে টিকাকরণ ও কোভিড টেস্টের কথা বললেও দেশ জুড়েই টিকার জোগান অপ্রতুল। এই আবহে রাজ্যে ৫৬ হাজার ৯৭৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিড টেস্ট হয়েছে ৬৬ হাজার ২৮৮টি। সংক্রমণের দৈনিক হার কিছুটা কমে ২৭.৭৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy