Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mamata Banerjee

কেন্দ্রীয় সাহায্য যথাযথ নয়: মমতা

রাজ্য সরকারের দাবি, করোনা-পরিস্থিতির তথ্য দেরিতে রাজ্যকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৪
Share: Save:

করোনা-পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্র যথাযথ সহযোগিতা করছে না। সোমবার এ কথা জানিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য সরকারের দাবি, করোনা-পরিস্থিতির তথ্য দেরিতে রাজ্যকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। উপরন্তু, চলতি পরিস্থিতির শুরু থেকে বারবার দাবি করা হলেও করোনা মোকাবিলার উপযুক্ত উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২১ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়। ২৪ মার্চ লকডাউনের ঘোষণা হয়। এই পরিস্থিতিতে যা পাওয়া উচিত ছিল, তা পাওয়া যায়নি। টাকা দেওয়া হয়নি।’’

রাজ্যের দাবি, ১১ লক্ষ পিপিই-র বরাত দেওয়া হলেও এত দিনে মাত্র তিন হাজার দিয়েছে কেন্দ্র। তবুও রাজ্য নিজের চেষ্টায় ২ লক্ষ ৭ হাজার ১০০ পিপিই জোগাড় করেছে। এন-৯৫ মাস্ক ৭ লক্ষ ৯২ হাজার বরাত দেওয়া হলেও এখনও পাওয়া গিয়েছে ৭৮ হাজার ৭৫০টি।

এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ডাক্তার-নার্স-চিকিৎসাকর্মীদের কাছে কার্যত ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘দেরি হচ্ছে বলে ক্ষমা চেয়ে নেব। প্রতিদিন আমরা ১৫ হাজার করে পাচ্ছি। আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। কিন্তু সেগুলো সেলাই করতে, বিধিসম্মত উপযুক্ত গুণমানের করে বানাতে তো কিছুটা হলেও সময় লাগে!’’

তবে মমতার দাবি, রাজ্যের করোনা তহবিলে সাধারণ মানুষ যে টাকা দিচ্ছেন, তা নিয়েই পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে রাজ্য। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে হাজার হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। আমি তো কেন্দ্রীয় সরকার নই। রাজ্যের তহবিলে সাধারণ মানুষ সাধ্য মতো যা দিচ্ছেন, তা দিয়ে আমি এগুলি করার চেষ্টা করছি।’’

কেন্দ্র যে পিপিই পাঠিয়েছে, তা নির্দিষ্ট একটি রংয়ের। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘হলুদ রং করা হচ্ছে। বৃহস্পতি কারও কারও তুঙ্গে। ডাক্তারদের সাদা, পিঙ্ক রংয়ের পোশাক দেখা যায়। এ সব দেখিনি।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখার ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা। সরকারের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের পিপিই ব্যবহার করে, তেমন উপকরণ রাজ্য ব্যবহার করছে না আপাতত। রাজ্যে প্রায় ৩০ হাজার এমন পিপিই রয়েছে। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে সেগুলি ব্যবহার করা যায় কি না, ভেবে দেখা হবে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy