ফাইল চিত্র।
নবান্নের ১৪ তলায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও করোনার থাবা ক্রমেই বাড়ছে। পরিস্থিতি এমনই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কর্মরত সহায়কেরাও গত বৃহস্পতিবার থেকে আর আসছেন না। কারণ, লকডাউন শুরু হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মী-সহায়কদের যেখানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল, সেই হোটেলের ক্যান্টিন ম্যানেজারের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা করতেন ১৪ তলায় কর্মরত প্রায় সকলেই। নবান্ন সূত্রে এ খবর মিলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মীদের কলকাতা পুলিশের যে বাসে নবান্ন নিয়ে যাওয়া হত, তার চালকের করোনা ধরা পড়ে গত মঙ্গলবার। বুধবার তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তার পর মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি থেকেই অফিস করার জন্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রতি দিন নবান্নে আসতে চান। ফলে বুধবারও তিনি ১৪ তলার অফিসে গিয়ে কাজকর্ম করেছেন। যদিও দু’-চার কর্তা ছাড়া আর কেউই দফতরে ছিলেন না।
নবান্নের খবর, ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষিত হয়। তার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের (সিএমও) কর্মীদের একাংশকে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখানে সিএমও-র দুই কর্তার চালকও থাকছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন অন্য একটি হোটেলে। তাঁর দুই দেহরক্ষী ও গাড়ির চালক কালীঘাটের কাছে অন্য একটি স্থানে থাকছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় করোনা সংক্রমণের খবর আসার পর গত ২৭ মে সিএমও-র কর্মী-সহায়কদের লালারসের পরীক্ষা করানো হয়। তাতে সিএমও-র দুই কর্তার চালকদের করোনা ধরা পড়ে। যদিও ওই দুই কর্তার করোনা পরীক্ষা করা হলে দেখা যায়, তাঁদের সংক্রমণ হয়নি।
২৭ মে-র পরীক্ষার ফলাফল দেখে আরও কয়েক জনের আর এক দফা পরীক্ষা হয় গত ৩ জুন। হোটেল কর্মীদেরও পরীক্ষা হয় সে দিন। পরীক্ষায় হরিশ মুখার্জি রোডের ওই হোটেলের ক্যান্টিন ম্যানেজারের করোনা ধরা পড়ে। এক কর্তা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে চা-জল পৌঁছে দিতেন যে সব কর্মী, তাঁরাও ওই হোটেলে ছিলেন। দু’মাসের বেশি একই হোটেলে থাকার ফলে ম্যানেজার-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশা করেছিলেন তাঁরা। এ খবর পেয়ে নবান্নের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর সহায়ক, কয়েক জন মহিলা পুলিশ কর্মীকেও ১৪ তলায় আসতে নিষেধ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য দুই দেহরক্ষীই এখন নিয়মিত নবান্নে যাচ্ছেন।
কলকাতা পুলিশের একটি বাস হোটেল থেকে কর্মীদের নবান্নে নিয়ে আসত। এর মধ্যেই ওই বাসের চালক বদল হয়। গত ৯ জুন ফের হোটেলে থাকা সিএমও-র সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা হয়। চালকেরও পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে ওই চালকও করোনা আক্রান্ত।
নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, ১৪ তলায় ওই চালক যেখানে বসতেন, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাউসকিপিংয়ের কর্মীরাও বসতেন। তাঁরা প্রতি দিনই মুখ্যমন্ত্রীর ঘর স্যানিটাইজ়েশন-এর কাজ করেন। এক কর্তার কথায়, ‘‘নবান্নের স্পর্শকাতর দফতরে কর্মরতদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সতর্কতা নিয়েই কাজ হচ্ছে, হবেও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy