রশিদ খান।
আড়াই দশকে লৌহকপাটের আড়াল থেকে প্যারোলে বাড়ি ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন দশ বার। দশ দফায় মাত্র ৯৩ দিন বাড়িতে থাকতে পেরেছেন বৌবাজার বিস্ফোরণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত রশিদ খান। এ বার এক লপ্তে ৯০ দিনের প্যারোল পেলেন তিনি। সৌজন্য করোনা!
কারাগারে করোনা ঠেকাতে দণ্ডিত বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই রশিদকে প্যারোলে ছেড়েছে কারা দফতর। আরও ২১ জন যাবজ্জীবন দণ্ডিতকেও ৯০ দিনের প্যারোলে ছাড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরিয়ে বৌবাজারে ফিয়ার্স লেনের বাড়িতে ফেরেন রশিদ। ওখানে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।
১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ২৬৭ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দোতলা বাড়িটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। সেই মামলায় একদা কলকাতার সাট্টা কারবারের ‘বেতাজ বাদশা’ রশিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কারা দফতর জানিয়েছে, প্যারোলে মুক্ত বন্দিদের একাংশকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিছু বন্দিকে তুলে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের বাড়ির এলাকার থানার হাতে। এ দিনই রাতে মহম্মদ কামাল নামে প্যারোলে মুক্ত এক প্রৌঢ়কে গার্ডেনরিচে তাঁর বাড়িতে মারধর করার অভিযোগ ওঠে কিছু পড়শির বিরুদ্ধে। পুলিশ কামালকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দিন থেকেই বাড়ির লোকের সঙ্গে দমদম জেলে বন্দিদের সাক্ষাৎ পর্ব ফের চালু হয়েছে। ২১ মার্চ ওই জেলে হাঙ্গামার পরে সাক্ষাৎ বন্ধ ছিল। মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, তাদের কর্মীকে মাওবাদী বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কারা-কর্তৃপক্ষ জানান, নিয়মানুযায়ী আইবি কর্মীদের উপস্থিতিতে মাওবাদী বন্দিদের সঙ্গে তাঁদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়েরাই দেখা করতে পারেন। তাই ওঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy