সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুকের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
হাওড়া বা কলকাতার মতো রেড জোনে করোনা সংক্রমণ থামাতে আরও কঠোর হতে হবে পুলিশকে। নবান্নে প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দিলেন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের জন্যও।
শুক্রবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে এই বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকরা। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন হাওড়ার কথা। কলকাতা নিয়েও বিশেষ ভাবে সতর্ক করেন প্রশাসনকে। বলেন, “হাওড়ার পরিস্থিতি খুবই স্পর্শকাতর। কলকাতাও রেড জোনে রয়েছে। এই দুই জেলাকে রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে আনতে হবে।” প্রয়োজন মতো কঠোর হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন পুলিশকে। মমতা জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের ৯৯ শতাংশই এই দুই জেলার।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ— লকডাউনের মধ্যে কোথাও বাজারে ভিড় করা যাবে না। বিশেষ করে হাওড়ার সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো যাবে না। এগুলো যথাযত ভাবে না মানলে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনার কথা সবাইকেই মাথায় রাখতে বলেন মমতা। বলেন, “এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর চ্যালেঞ্জ নিতে পুলিশকে। ১৪ দিনের মধ্যে রেড জোন থেকে হাওড়া-কলকাতাকে অরেঞ্জ জোনে আনতে হবে। তার জন্যে যা দরকার পুলিশ-প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে হবেই। যে লকডডাউন ভাঙবে এফআইআর হবে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” হাওড়া-কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকেও খুব স্পর্শকাতর হিসাবে উল্লেখ্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় এ বার সশস্ত্র পুলিশকেও নামানো হচ্ছে। প্রয়োজন বুঝলেই পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নেবে। ওই সব জায়গায় দুপুর ১২টার পর বাজার বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশেষ করে হাওড়ার ক্ষেত্রে রেড জোনের বাজারের সামনে সশস্ত্র পুলিশ দাঁড় করাতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ বাজারে এলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ” তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার উদ্দেশে বলেন, “কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডও রেড জোনে রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে রাস্তায় প্যারেড করাতে হবে। গোটা পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে পুলিশকে।”
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণের শিখরে পৌঁছতে পারে দেশ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের মূল্যায়নে
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে যে চারটি রেড জোন ছিল, তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর ইতিমধ্যেই রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে চলে গিয়েছে। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম জেলার পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাল। এই জেলাগুলোয় কোনও করোনা সংক্রমণ নেই। কিন্তু এ সব জেলাতেও ডিএম-এসপি-দের যথাযথ নজরদারি রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: র্যাপিড টেস্টের প্রস্তুতি হাওড়ায়, চলছে বাসিন্দাদের থার্মাল স্ক্রিনিং
সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের তিনি বলেন বেশি করে করোনা টেস্টের বিষয়টি দেখতে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, লকডাউনের পর রাজ্যে ফিরতে শুরু করবেন ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। তাঁরা বাড়িতে ফিরে কিছু দিন কোয়রান্টিনে থাকবেন। এ বিষয়টি পুলিশকে আগে থেকে পরিকল্পনা নিতে বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy