ছবি পিটিআই।
রাজ্যে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করল মঙ্গলবার। এ দিন নতুন করে আরও ১৯৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সরাসরি করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত ৭২ জনকে ধরে রাজ্যে মোট করোনা পজ়িটিভ মৃতের সংখ্যা এখন ২১১।
এ দিনের মৃতের তালিকায় এক স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন বছর সাতান্নর ওই প্রৌঢ় সরকারি হাসপাতালের সাফাইকর্মী ছিলেন।
সোমবার এক দিনে করোনায় আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে ছিল মালদহ। এ দিন সেই জেলায় নতুন করে কোনও সংক্রমণের কথা স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি জেলায় নতুন করে ১৯৩ জনের দেহে করোনার সন্ধান মিলেছে। ওই সব জেলার মধ্যে আবার শীর্ষ স্থানে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৮। এর পরে যে-সব জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে রয়েছে, তারা হল হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। হাওড়ার ২১, উত্তর ২৪ পরগনার ২৪, হুগলির ১৯, পশ্চিম বর্ধমানের ১০, বীরভূমের ১০ এবং মুর্শিদাবাদের ১৩ জন বাসিন্দার নাম নতুন করে করোনা-আক্রান্তের তালিকায় উঠেছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের পুরনো টার্মিনালই কোয়রান্টিন কেন্দ্র
মহানগরীতে নতুন সংক্রমণের তালিকায় আছেন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৩ জন কর্মী। একযোগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষা অণিমা হালদার জানান, সোমবার রাতে ১১ জন পুলিশকর্মী ভর্তি হওয়ার পরে এ দিন আরও দু’জন কর্মী সেখানে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: আবার পুলিশের অন্দরে করোনা, আক্রান্ত এ বার ১৪
বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরীক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি করে এ দিন একটি নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যে-সব বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরি আছে, সেখানকার বহির্বিভাগে ইচ্ছুকদের করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে।তবে ওই নির্দেশিকা ঘিরে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের সহ-সভাপতি চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ী জানান, উপসর্গহীন করোনা-আক্রান্তদের খুঁজে বার করার প্রশ্নে বহির্বিভাগে আসা রোগীদের লালারস পরীক্ষা চালু করার দাবি তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন। সে-দিক থেকে এই নির্দেশিকা স্বাগত। কিন্তু নির্দেশিকার এক জায়গায় উপসর্গহীন বা সংস্পর্শ-যোগ ছাড়া করোনা-আক্রান্তদের খুঁজে বার করতে বহির্বিভাগে নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে। আবার পরবর্তী অনুচ্ছেদে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, উপসর্গ থাকলে নমুনা সংগ্রহ করা হোক। একই নির্দেশিকার দু’রকম বক্তব্য ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy