প্রতীকী ছবি।
অতিমারির প্রাদুর্ভাবের দরুন নিট এবং সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা বা জেইই পিছোনোর বিতর্ক সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বাংলায় লকডাউন সত্ত্বেও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়ে গেল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। নিজেরা গাড়ির ব্যবস্থা করে পরীক্ষা দিতে এলেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তবে লকডাউনের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হয়েছে অনেকেরই। কেউ কেউ পরীক্ষার হলে পৌঁছতেই পারেননি।
স্নাতকোত্তর মাস কমিউনিকেশনে ভর্তির পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন মানিকতলার বাসিন্দা বরুণ সিংহ। তিনি জানান, ছাড়পত্র বলতে ছিল শুধু অ্যাডমিট কার্ড। সেটিকে সম্বল করে নিজেদের গাড়িতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছন। হলে ঢোকার আগে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পাশাপাশি স্যানিটাইজ়ার বা হাতশুদ্ধি দিয়ে হাত ছাড়াও জুতো জীবাণুমুক্ত করা হয়। মাস্ক ও গ্লাভস আবশ্যিক ছিল। ছ’ফুট ব্যবধানে বসানো হয় পরীক্ষার্থীদের। “পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ-প্রস্থানের রাস্তা আলাদা। ঢোকার গেটে ভিড় এড়াতে নজরদারি ছিল। আমরা অন্তত ২০০ জন পরীক্ষা দিয়েছি,’’ বলেন বরুণ।
এ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার আয়োজনকে কেউ কেউ স্বাগত জানালেও পরীক্ষার্থীদের একাংশের বক্তব্য, করোনা-কালে পরীক্ষার সূচি না-ফেললেই ভাল হত। সৃজা মুখোপাধ্যায় নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, “আমার বাড়ি হাজরা। লকডাউনের মধ্যে কী ভাবে সেক্টর ফাইভে পৌঁছব, বুঝতে পারছিলাম না। আমার এক বন্ধুরও পরীক্ষা ছিল। শেষ পর্যন্ত তার গাড়িতেই এসেছি।”
কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা তবু পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। কিন্তু দূরের জেলার বহু পড়ুয়াই আসতে পারেননি। সৌহার্দ্য দেব নামে জলপাইগুড়ির এক ছাত্র ফোনে জানান, ভাল ভাবে প্রস্তুত হয়েও তিনি এই প্রবেশিকা দিতে কলকাতায় আসতে পারলেন না। কারণ, করোনার জন্য ট্রেন চলছে না। “পরীক্ষার অন্তত এক দিন আগে আমাকে কলকাতায় পৌঁছতে হত। কোনও ভাবে বাসে কলকাতায় চলে গেলেও অতিমারির মধ্যে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠা সম্ভব ছিল না। হোটেলে থেকে পরীক্ষা দিতে গেলে আবার সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা অনলাইনে কি এই পরীক্ষা নেওয়া যেত না,’’ প্রশ্ন তুলেছেন সৌহার্দ্য।
সৌহার্দ্যের মতো অনেকেরই আশঙ্কা, নিট, জেইই-র সময়েও এমন সমস্যা হবে। ওই দুই প্রবেশিকায় পরীক্ষার্থী অনেক বেশি। সেখানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে কি না, সেটাও ভাবাচ্ছে তাঁদের।
তবে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁদের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সব নিয়ম মেনেই। “সবিস্তার তথ্য আমাদের জনসংযোগ আধিকারিক দিতে পারবেন। তবে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে। কোনও পরীক্ষার্থীর যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, সেই জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল,” ফোনে বললেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক এমকে পাণ্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy