Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বঙ্গে নিরাপদ! ঘরে ফিরতে নারাজ শ্রমিকরা

করোনার জেরে ভিন রাজ্যের মানুষজন ইতিমধ্যেই ফিরে গিয়েছেন নিজের রাজ্যে। আবার অন্য রাজ্যে কর্মরত এ রাজ্যের শ্রমিকেরাও বেশিরভাগ ফিরে এসেছেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব  সংবাদদাতা 
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০১:৩২
Share: Save:

করোনা আতঙ্কের জের এখনও দেখা যায়নি ইটশিল্পে। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও অব্যাহত ইট উৎপাদন। দেশ জুড়ে করোনা আতঙ্কে এ রাজ্যকে যে নিজেদের জন্য বেশি নিরাপদ বলে মনে করছেন, শিল্পশহরের কয়েকটি ইটভাটার শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলতে তেমনটাই জানা গেল। অনেকের কাজ না থাকলেও এঁদের অনেকেই নিজের রাজ্যে ফিরতে নারাজ।

করোনার জেরে ভিন রাজ্যের মানুষজন ইতিমধ্যেই ফিরে গিয়েছেন নিজের রাজ্যে। আবার অন্য রাজ্যে কর্মরত এ রাজ্যের শ্রমিকেরাও বেশিরভাগ ফিরে এসেছেন। শুধুমাত্র কাজের সূত্রে নয়, পড়াশোনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে একেবারে উল্টো ছবি শিল্পশহর হলদিয়ায়। ইটভাটার শ্রমিকেরা নিজেদেরকে এ রাজ্যে নিরাপদ বলে মনে করছেন। তাই এই আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তার সময়ও নিজের দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাম্রলিপ্ত ব্রিকফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, নিজেদের সুরক্ষিত বলে মনে করার পাশাপাশি ইটভাটার মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির ভিত্তিতেই এ রাজ্যে থেকে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা।

হলদিয়ার একটি ইটভাটার শ্রমিক ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রাজেশ দেবগণ বলেন, ‘‘ট্রেনে গেলে অন্য রাজ্যের মানুষের সংস্পর্শে এসে এই ভাইরাস বেশি করে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া এ রাজ্যেও যা হবে অন্য রাজ্যেও তাই হবে। তবে এ রাজ্যের সরকার কড়া হাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন। সে জন্যই এখানে থেকে গিয়েছি।’’ তাম্রলিপ্ত ব্রিকফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইদ্রিস আলি বলেন, ‘‘রবিরা জনতার কারফিউর জন্য কোনও শ্রমিক কাজ করেননি। তাঁরা কেউ নিজের রাজ্যে যেতে চাইছেন না। আমরা চেষ্টা করছি রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো সতর্কতার পথ অবলম্বন করতে। ভাটা শ্রমিকদের জন্য কিছু সময় অন্তর অন্তর হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Haldia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy