প্রতীকী ছবি।
করোনা-আতঙ্কে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব আদালতে ২১ মার্চ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়ার কাজে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বার কাউন্সিল। সোমবার এক জরুরি সভায় সর্বসম্মত ভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। করোনা সংক্রমণ এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে শুধু জরুরি মামলার শুনানি হবে বলে ররিবার জানিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। বার কাউন্সিল আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সব আদালতে ২১ মার্চ পর্যন্ত কাজে যোগ না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হাইকোর্টেও মামলার শুনানির সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
রাজ্য বার কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী প্রসূন দত্ত জানান, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও জনসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবেই বিচার প্রক্রিয়ায় যোগ না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও বিচারের কাজে যোগ দেওয়া হবে না। ২০ মার্চ বৈঠক ডাকা হয়েছে। নিম্ন আদালতে অভিযুক্তদের তোলার সময় সরকারি কৌঁসুলিদের একাংশ বিচার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবেন বলে সূত্রের খবর।
হাইকোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির সময় আজ থেকে আদালত কক্ষে যাতে অযথা ভিড় না-হয়, পুলিশকে তা দেখতে বলা হয়েছে। কোন মামলার শুনানি জরুরি, তা নির্ধারণ করবেন বিচারপতিরাই। আইনজীবীদেরই আদালতকে বোঝাতে হবে, কেন তাঁর মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজন।
পুলিশকে বলা হয়েছে, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে যেন রূঢ় ব্যবহার করা না-হয়। বুঝিয়ে বলতে হবে, কেন ভিড় করতে বারণ করা হচ্ছে। হাইকোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, স্বাভাবিক কাজের দিনে উচ্চ আদালতে গড়ে যত লোক যাতায়াত করেন, জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি হলে সেই সংখ্যা কমবে।
আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের আইনজীবীদের ২১ মার্চ পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে বারণ করা হয়েছে। আদালতে না-আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার বিচারপ্রার্থীদেরও। বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশন জানায়, জেলা আদালত ছাড়াও জেলার সব আদালতে এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy