ছবি: পিটিআই।
আগের সন্ধ্যাতেই পূর্বাভাস ছিল। বুধবার অনেক জায়গাতেই লাঠিপেটা করে রাস্তায় নামা লোকজনকে ঘরে ঢুকিয়ে দিল পুলিশ। কিছু জায়গায় আনাজ বা নিত্যসামগ্রী আনতে যাওয়া কারবারিকেও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করা বা মারধরের অভিযোগ রয়েছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে সতর্কও করেন।
পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়ার সময়ে মৃণাল সিংহ নামে এক দুধ বিক্রেতাকে পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান জানান, তদন্ত হবে। মুর্শিদাবাদ জেলার নওদায় আমতলা কলেজের কাছে জনা কুড়ি ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে টিউশন পড়াচ্ছিলেন এক গৃহশিক্ষক। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কয়েক ঘা লাগিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে আটক করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোয় তাজিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। বহরমপুরে আবার ভিড় হটাতে পুলিশ লাঠি চালায়। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও ব্যারাকপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণের ভাঙড় বা ঘটকপুকুরেও লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। হুগলির চন্দননগর কমিশনারেটে দেড়শো জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য তাঁদের ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতেই লাঠি হাতে পথে নেমেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বিডিও সৌগত রায়। এ দিন সকালেও ফের লাঠি হাতে দেখা যায় তাঁকে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও ওই রাতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল। ফলে এ দিন সকাল থেকে নদিয়ার সদর শহর ছিল সুনসান। কিন্তু নবদ্বীপ থেকে শান্তিপুরে লোকে দিব্যি রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে। কল্যাণীতে আবার গঙ্গার ধারে রমরম করে চলছিল গোটা তিরিশ ইটভাটা। শ্রমিকদের সেখানে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই, ওই সব এলাকায় পুলিশ-প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
লকডাউনের জেরে পূর্ব বর্ধমানে কালনার একাধিক পাইকারি বাজারে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হিমঘর না থাকায় রোজই ওই সব এলাকা থেকে ট্রাকে আনাজ যায় কলকাতা, মেদিনীপুর-সহ নানা জেলায়। এ দিন ট্রাক না আসায় নষ্ট হয় বহু আনাজ। বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দরিপাও বলেন, “মুদির দোকানে জোগান কমছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy