ছবি: সংগৃহীত।
করোনা-সঙ্কটের জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাইলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে কী ধরনের অভিযোগের কথা তাঁদের কাছে এসেছে, তার কিছু বিবরণ-সহ বামফ্রন্টের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিমানবাবু। কয়েক বছর আগে ঘরছাড়া বাম কর্মী-সমর্থকদের ফেরানোর দাবিতে ফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। এ বারের আলোচনার আবেদন অবশ্য রাজনৈতিক নয়, করোনা মোকাবিলার পরিস্থিতি সংক্রান্ত।
নবান্ন থেকে সাক্ষাতের সময় বরাদ্দ হওয়ার আগে রবিবারই অবশ্য বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারই সর্বজনীন রেশনের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করেছে। কিন্তু ঘোষণা অনুসারে রেশনের সামগ্রী রাজ্যের সব জায়গায় ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। তার জেরে অশান্তি বাধছে কোথাও কোথাও। অধিকাংশ জায়গাতেই রেশন ডিলারেরা বলছেন, ঠিকমতো সরবরাহ নেই। এই অভিযোগ সত্যি নাকি রাজ্যের দেওয়া সরবরাহ ‘বেহাত’ হয়ে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার যে তৎপরতা দেখিয়েছে, তার সঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীরা সহযোগিতা করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন দুই বিরোধী নেতা। তার সঙ্গেই তাঁদের আবেদন, রোগ মোকাবিলায় চিকিৎসক তথা বিশেষজ্ঞেরা যা করছেন, তার উপরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ একেবারেই ‘অবাঞ্ছিত’। পরিসংখ্যান নিয়ে সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করলে রোগ মোকাবিলায় অসুবিধা হবে, মানুষও অযথা আতঙ্কিত হবেন। ডেঙ্গির সময়ে যে ভাবে তথ্য গোপনের প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন মান্নান ও সুজনবাবু।
আরও পড়ুন: ইউজিসির টাকা ত্রাণে! দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক
রাজ্যের নানা জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি নিজেরাও সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন দল। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের গড়গড়ি, নিয়াঘাট, মুসাহতলা গ্রামের কিছু পরিবার (যাঁরা যাযাবর প্রকৃতির, সাবেক কিছু কাজে যুক্ত থাকেন) রেশন বা অন্য কোনও সহায়তা না পেয়ে প্রায় অনাহারে ছিল। এই খবর পেয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র এ দিনই ওই এলাকায় কিছু খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। অযোধ্যা পাহাড়ের কিছু এলাকাতেও খাবারের অভাবে কিছু মানুষ বিপন্ন বলে অভিযোগ ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক আব্দুর রউফের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো কিছু রাজ্যে আটকে থাকা কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও সুরাহা হচ্ছে না।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy