প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।—ফাইল চিত্র।
করোনা নিয়ে কেন্দ্রের তিন শীর্ষ নেতার সঙ্গে শুক্রবার কথা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চলতি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহযোগিতা চেয়ে এ দিন সকালে মমতাকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই ফোন আসে কেন্দ্রের তরফে করোনা সমন্বয়ে এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। সব শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লকডাউন নিয়ে আলোচনা করেন।
মোদীর ফোন পেয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলার ফাঁকে রাজ্যের জন্য বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইনের নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানান মমতা। রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (এসজিডিপি)-র ৫% বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। এখন এসজিডিপি’র সর্বোচ্চ ৩% ঋণ নিতে পারে রাজ্য। নবান্নের দাবি পূরণ হলে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। আর সেটা হলে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট কাটানো সহজ হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মোদী কিছু আশ্বাস না-দিলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
মোদী এ দিন করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি মমতাকে জানান, দেশের অবস্থা এখনও যথেষ্ট গুরুতর। লকডাউন ও তা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে ও সমন্বয় রেখে চলতে চায় কেন্দ্র। ভবিষ্যতে কেন্দ্রের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। অনেকের মতে, কেন্দ্র হয়তো ১৪ এপ্রিলের পরে আরও কিছু দিন লকডাউন করতে পারে। কারণ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভারতে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার নিতে পারে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে।
প্রধানমন্ত্রীর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে এক দফা কথা বলেছিলেন তিনি। নবান্ন জেনেছে, কয়েক জন জেলাশাসকের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সরাসরি কথা বলেছেন। এ দিন ফোনালাপের সময়ে মমতা তাঁকে বুঝিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতাই করবেন তিনি। কিন্তু বিদেশমন্ত্রী সরাসরি জেলাশাসকদের ফোন না-করে যদি মুখ্যসচিব বা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন, তা হলে সব দিকই বজায় থাকে।
বিদেশমন্ত্রীর পরেই মমতাকে ফোন করেন অমিত শাহ। লকডাউন প্রসঙ্গে দু’জনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিমানবন্দর, সেনা ছাউনির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সীমান্ত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। কথা প্রসঙ্গে লকডাউন বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিরাপত্তা দিতে যে রাজি, সে কথাও জানিয়ে রাখেন শাহ। মুখ্যমন্ত্রীও বিদেশ থেকে আসা বিমান আরও আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল বলে শাহকে জানান। সেই সঙ্গে যে ভাবে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলি থেকে ট্রেন ভর্তি করে শ্রমিকদের এ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে, সে প্রসঙ্গও তোলেন মমতা। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য এক যোগে লড়ার কথা একে অপরকে বলেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy