অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ মঙ্গলবার সাধারণ যাত্রীদের জন্য এই বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। প্রতীকী ছবি।
কথা ছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার-কলকাতা বিমান পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। অবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ মঙ্গলবার সাধারণ যাত্রীদের জন্য এই বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। তবে মাস তিনেকের জন্য কেন্দ্রের ভর্তুকিতে টিকিটের দাম ৯৯৯ টাকা হওয়ার কথা যে বলা হয়েছিল, সেই সময় সীমা কমে যেতে পারে। আভাস মিলেছে, বড় জোর এক মাস কেন্দ্রের ভর্তুকিতে বিমান পরিষেবা চালু থাকবে। তার পর টিকিটের দাম ৩-৪ হাজার টাকা হবে।
রবিবার কোচবিহার-কলকাতা রুটে বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান সফল হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, ‘‘পরীক্ষামূলক উড়ান যাত্রা সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের কর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’’ অন্য দিকে, বিমান পরিষেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। দু’পক্ষই এই বিমান পরিষেবা চালু করার পিছনে নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরতে চাইছে। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিমানে করে কোচবিহার আসার কথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। সেখানে থাকার কথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়ের। বিজেপির কেউ বিমানে থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার বহু বার চেষ্টা করেও কোচবিহারেও বিমান নামাতে পারেনি। শেষমেশ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদ্যোগেই তা চালু হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘উড়ান পরিষেবা কেন্দ্রীয় সরকারের হয়। রাজ্য সরকারের হয় না। যে হেতু রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায়, তাই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’
অন্য দিকে, রবির দাবি, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এই বিমান পরিষেবা চালু করা অসম্ভব ছিল। তিনি বলেন, ‘‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দমদমে থাকছি ২১ তারিখ। সেই বিমানে কলকাতা থেকে কোচবিহার ফিরব। কোচবিহারবাসীর এই স্বপ্ন পূরণ করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি হয়তো জানেই না, সাফাই কর্মী থেকে নিরাপত্তা— সবই রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় রয়েছে। কেন্দ্র চাইলে আগেই এই পরিষেবা চালু করতে পারত। কিন্তু তা তারা করেনি। আমাদের রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে, ৯টি আসনের বদলে আগামী দিনে ২০টি আসনের বিমান চালু করতে।’’
চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শনের পর জানিয়েছিলেন, তিন মাস কেন্দ্রের ভর্তুকি দিয়ে ওই বিমান চলাচল করবে। কিন্তু পার্থের দাবি, এক মাসের মাথায় কেন্দ্র ভর্তুকি তুলে নেবে। তবে রাজ্য সরকারের দেওয়া ভর্তুকি যাতে বহাল থাকে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy