পদত্যাগী উপপ্রধান মিলন জানা। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন দলের ব্লক নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত সদস্যদের সই সংগ্রহও হয়ে গিয়েছিল। ঘটনার কথা প্রকাশ্য়ে আসতেই নাটকীয় ভাবে বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ওই উপপ্রধান। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার দাসপুর-১ ব্লকে। ওই ব্লকের দাসপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পদত্যাগী উপপ্রধান মিলন জানাকে ঘিরেই বিতর্ক।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য কার্তিক রায় জানান, বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে থেকেই গোপনে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন মিলন। তাই ভোটের ফল ঘোষণার পরই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যেরা মিলনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই মিলন দাসপুর-১ বিডিও বিকাশ নস্করের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। দাসপুরের তৃণমূলের নেতা তাপস খাটুয়া বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী মিলন বহুদিন ধরেই দলবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন।’’
এ বিষয়ে বিডিও বলেন, ‘‘আমি বুধবার বিকেলে মিলনবাবুর থেকে পদত্যাগপত্র পেয়েছি। ১৭ মে সোমবার বেলা ১২টায় ওঁকে ডাকা হয়েছে শুনানির জন্য। ওই শুনানির পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
অন্যদিকে, দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক বলেন, ‘‘এ বার নির্বাচনের আগে থেকেই মিলনবাবু দলের প্রচার থেকে বিরত ছিলেন। ওঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে সরানোর আগেই উনি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন। পদত্যাগী উপপ্রধান মিলন জানান, তাঁর কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। সে কারণেই তিনি নিজের ইচ্ছায় এই পদ থেকে সরে যেতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা মান্নার বিরুদ্ধেও বিজেপি-র সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন ওই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারীর সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্নার স্ত্রী রূপা। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দু'বারের বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে হারানোর জন্য তলেতলে বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন ওই দম্পতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy