সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে সরাসরি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও রাহুল গাঁধীর কাছে অভিযোগ ই-মেল মারফৎ অভিযোগ জানালেন রাজ্যের দলীয় কর্মীরা। সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করেগত রবিবার সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। তাঁর এমন পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই কংগ্রেস ও সিপিএম, দুই শিবিরের মধ্যেই অস্বস্তি ছড়িয়েছে।
সিপিএমের এই আইনজীবী নেতারপোস্টে ‘কংগ্রেসি গুন্ডা’ শব্দের ব্যবহারে বেজায় চটেছেন কর্মীরা। সঙ্গে কংগ্রেসি গুন্ডাদের হাতে সিপিএম নেতা-কর্মীদের হত্যার কথাও লেখা হয়েছে। ঘটনার পরেই প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদপত্রও পাঠানো হয়েছিল সিপিএমের সদর দফতর আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে। এমনকি, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ফোন করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদককেও। তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব জবাবের অপেক্ষা করলেও সিপিএমের তরফে বিকাশের এমন পোস্ট নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালেই একদল সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী উদ্যোগী হয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশের বিরুদ্ধে মেল পাঠিয়েছেন দলের দুই সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন পেয়েই রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন বিকাশবাবু। তাই স্বাভাবিকভাবে নেটমাধ্যমে কংগ্রেস কর্মীদের ক্ষোভ এবং তাঁর বিরুদ্ধে সনিয়া-রাহুলকে প্রতিবাদপত্র দেওয়ায় চাপে পড়েছেন তিনি। যদিও, বিকাশ বলেছেন,‘‘যদি কংগ্রেসের কেউ আমার পোস্ট নিয়ে দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত।’’
কংগ্রেস কর্মীদেরকথায়,‘‘মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও পরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-পরপর দু’দিন দুই সিপিএম নেতা সাঁইবাড়ির ঘটনার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। একে অপরের হাত ধরে যখন রাজনৈতিকভাবে পথ চলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তখন কীভাবে সিপিএম নেতারা এভাবে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রসকে আক্রমণ করতে পারেন? আমরাও কি সিপিএমের ৩৪ বছরের কথা তুলে তাদের পাল্টা আঘাত করব?’’