কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ঝালদা পুরসভার অচলাবস্থা কেটেও যেন কাটতে চাইছে না। কংগ্রেসের শীলা চট্টোপাধ্যায় পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার কাউন্সিলর পদই খারিজ করে দেয় প্রশাসন। এ বিষয়ে আগেই আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল কংগ্রেস। শুক্রবার কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। দুপুর ৩টের সময় বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।
বহু টানাপড়েনের পর গত মঙ্গলবার পুরপ্রধান হিসাবে শপথ নেন ঝালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা। ঝালদায় কাজ শুরু করে কংগ্রেসের পুরবোর্ড। কিন্তু তার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের নির্দেশে খারিজ হয়ে যায় তাঁর কাউন্সিলর পদই। শীলার জায়গায় ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধে।
বুধবার সরকারি নির্দেশ জারি হলেও বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই জরুরি বৈঠকে বসে কংগ্রেস। শীলাকে সরিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপকে পুরসভার দায়িত্বে বসানোর পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছে কংগ্রেস। এই ‘ষড়যন্ত্রে’র শেষ দেখতে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টিকে পাল্টা ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত’! বলে আখ্যা দেয় তৃণমূল।
গত বছর ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তার পর থেকেই ডামাডোল শুরু ঝালদায়। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে যে খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় ৫ জন করে কাউন্সিলর তৃণমূল ও কংগ্রেসের। ২ জন কাউন্সিলর নির্দল হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তাঁদের মধ্যে একজন যোগ দেন কংগ্রেসে। গত ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। অপসারিত হন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। জবা মাছোয়ার নামে এক কাউন্সিলরকে পুরপ্রধান হিসাবে তুলে ধরে তৃণমূল। সেই মামলা আবার পৌঁছয় আদালতে।
আদালত জানায়, শীলা বা জবা নন, আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভা সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসকই। সেই সময় সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি, প্রশাসক নিয়োগে রাজ্যের উদ্যোগও আটকে গিয়েছিল আদালতে। সম্প্রতি আদালতে জমা পড়ে জেলাশাসকের পাঠানো রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখার পর কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, পুরপ্রধান পদে শপথ নিতে পারবেন শীলা। মঙ্গলবারই তিনি শপথ নেন। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, নির্দল হিসাবে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শীলা। তার পর তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পুরপ্রধান হন তিনি। তৃণমূলের দাবি, যা ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন’-এর পরিপন্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy