লোকসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে শনিবার বিধান ভবনে বৈঠক প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসমিতির। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল এবং বিজেপির মেরুকরণের আবহে জমি হারাতে হয়েছে তাদের।বিপর্যয়ের পরে নতুন করে লড়াই শুরু করতে ‘সমমনোভাবাপন্ন’ দলগুলির সঙ্গে এখনই আলোচনা শুরু করতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। তাদের গৃহীত প্রস্তাবে ‘সমমনোভাবাপন্ন’ লেখা হলেও বৈঠকে উঠে এসেছে বামেদের সঙ্গে নিয়ে চলার কথাই। এআইসিসি-র তরফে বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ রাজ্য নেতৃত্বের এই মনোভাবের কথা জানিয়ে দেবেন দলের হাইকম্যান্ডকে।
লোকসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে শনিবার বিধান ভবনে বৈঠকে বসেছিল প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসমিতি। গৌরবের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে ছিলেন দীপা দাশমুন্সি, শঙ্কর মালাকারেরাও। ভোটের আগে তাঁরা সিপিএমের সঙ্গে জোটের প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছিলেন। ভোটে হারের পরে এ দিন অবশ্য তাঁরা আর ওই প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু বলেননি। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে না এলেও কলকাতাতেই দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বামেদের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক জোটে’র কথা বলেছেন।
মুসলিম ইনস্টিটিউটে মান্নানকে পাশে নিয়ে এ দিন এক অনুষ্ঠানে অধীরবাবু বলেন, ‘‘২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পরে বলেছিলাম, বামেদের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী আঁতাঁত ছিল অর্ধসিদ্ধ একটা ব্যাপার। মানুষ পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারেননি। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে গেলে আমাদের শুধু নির্বাচনী জোট করলে হবে না, রাজনৈতিক জোট করতে হবে।’’ তাঁর অভিযোগ, সেই প্রস্তাব তখন বামেরা না মেনে একলা চলতে চেয়েছিল। বিধান ভবনের বৈঠকেও দলের কমিউনিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা না থাকলে ২০১৬-র ভোটেই ২০১৯-র দশা হতো! এখনই সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রেরও মতে, তৃণমূল ও বিজেপির বিকল্প মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে। গৌরব বৈঠকে বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের মতই এআইসিসি শুনবে। দু’মাসের মধ্যে দলের জেলা থেকে বুথ স্তরের কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তও হয়েছে বৈঠকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy