উত্তর কলকাতায় পথে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশাকে হাতিয়ার করে গোটা রাজ্যে সক্রিয় হল কংগ্রেস। লকডাউন-পর্বে দেশের নানা প্রান্তে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে বা সাহায্য পাঠাতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে ফের দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাঁর নির্দেশে দলের প্রথম কর্মসূচিই হল প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা থেকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাইরে থেকে যাওয়ার বিষয়টি। কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, লকডাউনের সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যা আচরণ করেছে এবং রাজ্যে তৃণমূল সরকার যে ভাবে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনকে ‘করোনা এক্সপ্রেস’ বলেছে, তার প্রেক্ষিতে দুই সরকারের বিরুদ্ধেই শ্রমিকদের ক্ষোভ রয়েছে। তাই পরিযায়ী-প্রশ্নকে হাতছাড়া হতে দিতে চায় না কংগ্রেস। তৃণমূল অবশ্য রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে নারাজ।
দার্জিলিং থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পর্যন্ত সব জেলায় বুধবার বিক্ষোভ দেখিয়ে জেলাশাসক বা অন্য আধিকারিকদের কাছে দাবিপত্র দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। জেলা সভাপতিদের মধ্যে অনেকেই প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের আমলের। দলে জমানা বদলের পরে সোমেন-শিবিরের বহু নেতাও এ দিন ময়দানে নেমে নতুন প্রদেশ সভাপতিকে বার্তা দিতে চেয়েছেন। উত্তর কলকাতায় যুব নেতা রোহন মিত্র, পশ্চিম বর্ধমানের তরুণ রায় বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়ন্ত দাসেরা সকলেই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন হাওড়ার শ্যামপুরে।
দক্ষিণ কলকাতায় পথে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেসের বক্তব্য, ৫০ হাজার কোটি টাকার গরিব কল্যাণ যোজনায় দেশের ১১৬টি জেলার নাম উঠেছে কিন্তু বাংলা কোনও তালিকা পাঠায়নি। কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে পরিযায়ীদের নামের তালিকা পাঠানোর জন্য। অধীরবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ১১ লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউনে রাজ্যে ফেরত এসেছেন। আমি শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে দেড় লক্ষ শ্রমিকের তালিকা পাঠিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা এখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ পাননি! এর পরে কংগ্রেসের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’’
উত্তর ২৪ পরগনায় পথে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে ভয়ঙ্কর মনোভাব নিয়েছিল, তা দেশের মানুষ দেখেছেন। কিন্তু এ রাজ্যে সরকার তাঁদের বাড়ি ফেরানো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাখার ব্যবস্থা করেছে। অভিযোগ করার আগে তথ্যটা জেনে নেওয়া ভাল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy