মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এবং লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরীকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামল কংগ্রেস। মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে শুক্রবার রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘নীরব মোদী’ কথাটা ব্যবহার করেছিলেন অধীর। মণিপুর প্রসঙ্গে ‘নীরব মোদী’ লেখা পোস্টার নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের নেতৃত্বে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে এ দিন শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মুখতার, কৃষ্ণা দেবনাথ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, তপন আগরওয়াল, মধ্য কলকাতা জেলা সভাপতি সুমন পাল, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ, দক্ষিণ কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা (শহরাঞ্চল) জেলা সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ ও তাপস মজুমদার, হাওড়ার পলাশ ভান্ডারী প্রমুখ। বিক্ষোভ থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১১৬ জনকে। অধীরের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিন বলেছেন, ‘‘মণিপুর জ্বলছে কিন্তু প্রধানন্ত্রী কিছু না বলে নীরব মোদী হয়ে থেকেছেন। তাঁকে সরব করার জন্যই তো অনাস্থা প্রস্তাব। অধীর চৌধুরী ভুল কী বলেছেন? আর লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন, এতে অসংসদীয় আচরণ কোথায়? সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)