আসন-রফা নিয়ে বৈঠক শেষে কংগ্রেস ও বাম নেতারা
আগের বারের চেয়ে বেশি আসন দাবি করেই রফার আলোচনা শুরু করল কংগ্রেস। বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে আসন-রফা নিয়ে প্রথম বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে ১৩০ আসনে লড়তে চাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে কোথায় কত আসন, তার বিশদ তালিকা দেয়নি তারা। বামেরা তাদের জানিয়েছে, নিজেদের মধ্যে কথা বলে তারা মতামত জানাবে। এই মাসের মধ্যেই আসনভিত্তিক জোটের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে দু’পক্ষের নেতৃত্বই আশাবাদী।
জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বামেদের সঙ্গে জোটের প্রক্রিয়া শেষ করে পুরোদস্তুর ভোটের প্রচার শুরু করার জন্য রাজ্যের কংগ্রেসকে বার্তা দিয়েছে এআইসিসি। তার পরেই আসন-রফার আলোচনায় গতি এনেছে কংগ্রেস। বাম নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসে রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৩০টি আসনে লড়তে চান। বামেরা জানাক, তারা কত আসনে প্রার্থী দিতে চায়। ঠিক হয়েছে, আগামী ২৫ ও ২৮ জানুয়ারি আসন-রফা নিয়ে পরবর্তী বৈঠক হবে। তবে কোনও পক্ষ চাইলে তার আগেও ঘরোয়া আলোচনায় বসতে পারে।
আরএসপি-র মুখপত্রের দফতর ক্রান্তি প্রেসে এ দিন সকালের বৈঠকে ঈষৎ মত-বিরোধের আবহও তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ১৩০ আসনের দাবি শোনার পরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বৈঠকে বলেন, সংখ্যার চেয়েও কোন আসন কে চাইছে, সেটা ভেবে দেখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৬ দলের আন্দোলনের ঐক্য গড়ে উঠেছে অনেক দিন। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কিছু বলা মুশকিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তখন উষ্মার সুরে বলেন, যে সব দলের ভোটে লড়ার মতো অস্তিত্বই নেই, তাদের জন্য এত সময় নিয়ে কী হবে! অন্য নেতাদের হস্তক্ষেপে বিমানবাবুকে ফ্রন্টে আলোচনা করার জন্য সময় দেওয়ার কথা ঠিক হয়।
বৈঠকের পরে অবশ্য অধীরবাবু ও বিমানবাবু, দু’জনেই দাবি করেছেন, কোনও ‘তিক্ততা’ ছাড়াই আলোচনা এগোচ্ছে। অধীরবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস-বাম বা বাম-কংগ্রেসকে একাকার হয়ে লড়তে হবে। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। আসন বণ্টন একটা প্রক্রিয়া। এক দিনে সেটা হয় না। আরও কয়েক বার আলোচনা হবে। এই মাসের মধ্যেই আসন-রফা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’ বিমানবাবুরও বক্তব্য, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূলের দ্বিমেরু ভাষ্যের বাইরে মানুষকে বিকল্প দিতে হবে। আসন-রফার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি মানে এই নয় যে, কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি বা তিক্ততা আছে। চলতি মাসের মধ্যেই বিধানসভা আসনভিত্তিক তালিকা আমরা তৈরি করে ফেলব।’’
কংগ্রেসের তরফে এ দিন বৈঠকে ছিলেন এআইসিসি-র গড়ে দেওয়া কমিটির চার সদস্য অধীরবাবু, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিধায়ক নেপাল মাহাতো। বামেদের তরফে বিমানবাবু ছাড়াও ছিলেন সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি-র সূর্যকান্ত মিশ্র, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চট্টোপাধ্যায় ও মনোজ ভট্টাচার্য। সংসদ বা অন্য কাজে অধীরবাবু দিল্লিতে থাকাকালীন বামেদের সঙ্গে কোনও বৈঠক হলে প্রয়োজনে বিধানসভায় বিরোধী দলের সচতেক মনোজ চক্রবর্তী প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে ঠিক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy