—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে উপনির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের জোটে জট হয়ে থাকল বাগদাই! বামফ্রন্টের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরে উত্তর ২৪ পরগনার ওই বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিল কংগ্রেসও। তবে বাম সূত্রের খবর, সার্বিক জোট রক্ষার স্বার্থে একটি আসন নিয়ে কংগ্রেসের উপরে বিশেষ চাপাচাপির পথে যেতে চাইছে না সিপিএম।
বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য এআইসিসি-র তরফে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে, রায়গঞ্জে প্রার্থী হচ্ছেন দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি ও ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। বাগদায় প্রার্থী অশোক হালদার। তিনি পেশায় শিক্ষক, ব্লক কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। বামফ্রন্টের তরফে বাগদায় আগেই প্রার্থী হিসেবে ফ ব-র প্রাক্তন বিধায়ক কমলাক্ষী বিশ্বাসের পুত্র গোরাদিত্য বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ফলে বাগদাকে ঘিরে জোটে জোট ঘনীভূত হল। উপনির্বাচনে অন্য দুই কেন্দ্র রানাঘাট দক্ষিণ (সংরক্ষিত) এবং মানিকতলায় আগেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম।
কংগ্রেসের দাবি মেনে বাগদা আসন তাদের ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে সায় দেয়নি বামফ্রন্টের কোনও শরিক দলই। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের মতো সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের বড় অংশেরও মত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে কোচবিহার ও পুরুলিয়ায় যা হয়েছিল, তারই জের এসে পড়েছে বাগদায়। কোচবিহারে যেমন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর অনুরোধ সত্ত্বেও কংগ্রেস প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি, তেমনই পুরুলিয়ায় বামফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজেরা লড়েছিল ফ ব। উপরন্তু, ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসকে প্রবল আক্রমণ করেছিলেন। কলকাতাতেও কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে বামফ্রন্টের অন্য শরিকেরা থাকলেও ফ ব নামেনি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘এর পরে কংগ্রেসকে ফ ব-র সঙ্গে সমঝোতা করতে অনুরোধ করা কঠিন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy