ঝালদার প্রয়াত কাউন্সিলরের বাড়িতে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। নিজস্ব চিত্র
ত্রিশঙ্কু হওয়া ঝালদা পুরসভাকে নিজেদের দখলে রাখতে সদ্য নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে নিজেদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসনের মাধ্যমেই ওই চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কংগ্রেসের এই অভিযোগে মঙ্গলবার অন্য মাত্রা যোগ করল ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়ো টেপ। ওই অডিয়ো টেপে দু’জনের কথোপকথন শোনা গিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ওই কথপকথন নিহত তপনের সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি-র। আনন্দবাজার অনলাইন যদিও ওই অডিয়ো টেপের সত্যতা যাচাই করেনি।
ভাইরাল হওয়া ওই কথোপকথনের অডিয়ো নিয়ে শাসকদলের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার নিহত দলীয় কাউন্সিলরের বাড়িতে যান। মান্নানের অভিযোগ, ‘‘আমি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ঝালদা থানার আইসি তপন ও তাঁর স্ত্রীর উপর মানসিক ভাবে প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছিল। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ, প্রশাসন, পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আমরা তপনের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।’’
কংগ্রেসের এই অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। ভাইরাল হওয়া অডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘যে অডিয়োর কথা বলা হচ্ছে, সেটা কতটা সত্যি বা কতটা মিথ্যে আমি জানি না। ওই অডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, কেউ যদি লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।’’ পার্থর দাবি, ‘‘পুলিশ সুপারের এমন মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে প্রশাসন চলছে, তা অপরাধের রং দেখে বিচার করে না। তবে যে কোনও মৃত্যু বা রক্তপাতের ঘটনাই দুঃখের।রাজনৈতিক রং না দেখেই এই ঘটনার তদন্ত হবে। প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy