কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের মামলা। এ বার একটি নয়, দু’টি। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে বৃহস্পতিবার জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। চেয়ারপার্সনকে সরাতে চেয়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূলও।
পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছেন। কংগ্রেসের তরফে মামলায় নাম রয়েছে পূর্ণিমা কান্দুর। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
অনাস্থা ভোটের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে তৃণমূলের হাত থেকে ঝালদা পুরসভার দখল পেয়েছিল কংগ্রেস। মামলা কলকাতা হাই কোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশে পুরপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। আর পুরভোটের পরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা উপপুরপ্রধান হন। কিন্তু সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত পাঁচ পুরপ্রতিনিধি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই দলে নির্দল পুরপ্রধান শীলা ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু (নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো), পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
তার পরেই পুরসভার উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন পূর্ণিমা। তিনি জানান, যে হেতু পুরসভায় তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, তাই নৈতিকতার কারণেই আর এই পদে থেকে যাওয়ার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০২২ সালের ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তার পর থেকেই ডামাডোল শুরু ঝালদায়। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ওই খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। পুরসভা নির্বাচনে ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। ২ জন কাউন্সিলর নির্দল হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তাঁদের মধ্যে এক জন যোগ দেন কংগ্রেসে। গত বছর ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। অপসারিত হন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। জবা মাছোয়ার নামে এক কাউন্সিলরকে পুরপ্রধান হিসাবে তুলে ধরে তৃণমূল। তার পর থেকেই একাধিক বার ঝালদা পুরসভার জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy