প্রতীকী ছবি।
অতিমারি মোকাবিলায় একাধিক রাজ্যে চলছে লকডাউন। বাংলাতেও কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই কঠিন পরিস্থিতিতে এক দিকে স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ানো এবং অন্য দিকে অর্থনৈতিক ভাবে বিপন্ন মানুষের প্রতি আর্থিক সহায়তার দাবিতে ফের সরব হল কংগ্রেস ও সিপিএম। তাদের দাবি, গত বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিক সরকার।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আর্থিক ভাবে বিপন্নদের পরিবার পিছু মাসে ৬ হাজার টাকা করে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। বামেদের দাবি মাসিক সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও বিনামূল্যে ৫ কেজি খাদ্যের। অধীরবাবু রবিবার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, অতিমারি পরিস্থিতি চলছে গোটা দেশে, একাধিক রাজ্য লকডাউনে গিয়েছে। বহু মানুষের রুটি-রুজি বিপন্ন। কেন্দ্রীয় সরকারকেই এই অবস্থায় তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। সেই জন্যই মাসিক ৬ হাজার টাকা সহায়তার দাবি। অধীরবাবু আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী আগেই গরিব মানুষের পরিবার পিছু মাসে ৬ হাজার টাকা নগদ সাহায্য সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবই মেনে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
রাজ্য সরকার ‘সামূহিক আত্মশাসন’-এর কড়া ব্যবস্থা ঘোষণা করার পরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি করেছেন, ‘‘২০২০ সালের লকডাউনের নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আনুষঙ্গিক অবশ্য করণীয় দায়িত্বগুলি সরকারকে পালন করতে হবে।’’ এই সময়ে কর্মচ্যূত ও কর্মহীনদের মাসে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং ৫ কেজি করে চাল-গম দেওয়ার দেওয়ার দাবি তাঁরা ফের সামনে এনেছেন। সেই সঙ্গেই সূর্যবাবু বলেছেন, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই কেন্দ্রের কাছে এর পাশাপাশি করোনার গণটিকাকরণের দাবিও তাঁরা বজায় রাখছেন। বিশেষত, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্বিতীয় ডোজ় সম্পূর্ণ করার কথা বলছেন তাঁরা।
সূর্যবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের আগে শাসক দলের প্রতিশ্রুতি ছিল ১.৬ কোটি সাধারণ শ্রেণির পরিবারের কর্ত্রীকে মাসে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসে হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। রাজ্যে দেড় কোটি পরিবারের প্রতি ঘরে রেশন সরবরাহের কথাও বলা হয়েছিল। এই সঙ্কটের সময়েই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ শুরু হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সূর্যবাবু। পাশাপাশিই রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, রাজনৈতিক ও অ-রাজনৈতিক সংস্থার যাঁরা কোভিড ভলান্টিয়ার হিসেবে মানুষকে সাহায্য করছেন, তাঁদের কাজে যাতে বাধা না পড়ে, তা দেখা হোক। সংক্রমণ মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে বিধি মেনে চলার আর্জিও জানানো হয়েছে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy