মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রের হার নিয়ে গভীর আক্ষেপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, "সিঙ্গুরকে আমি বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলাম। সেই সিঙ্গুরে যে আমরা হেরে যাব, ভাবতেই পারি না।"
সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে সিপিএম বিরোধিতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা। পরে তার সঙ্গে নন্দীগ্রামের আন্দোলন যোগ করে রাজনৈতিক পরিবর্তন নিশ্চিত করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই সিঙ্গুরে হেরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি দলের ওই বৈঠকে বলেন, "গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই আমরা এখানে হেরে গিয়েছি। তোমরা শেষ করে দিচ্ছ।" এই প্রসঙ্গেই দলের দুই বিধায়ক বেচারাম মান্না ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের দলের দুই নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, "বেচা আর রবীনবাবুর গোলমালের জন্যই এই ফল হয়েছে। আপনারা এ সব বন্ধ করে একসঙ্গে কাজ করুন।" বেচারামকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাস্টারমশাই একজন প্রবীণ মানুষ। একটু সম্মান চান। তাঁকে একটু সম্মান দিতে পার না!’’
হুগলি লোকসভা আসনে এবার বিজেপি জিতেছে। তারই অন্তর্গত সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে ১০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। সিঙ্গুরের এই অবস্থা নিয়ে শাসকদলে অস্বস্তি ছিলই। দলীয় নেতাদের বৈঠকে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের মনোভাব স্পষ্ট করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য সম্পর্কে সিঙ্গুরের বিধায়ক অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বুধবার তিনি বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনে আমাকে দলের কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কোনও কাজেই আমি ছিলাম না। এইটুকু বলতে পারি।" তবে রাজনৈতিক শক্তির নিরিখে সিঙ্গুরে তৃণমূলের শক্তি ক্রমশ কমছে বলেও মনে করছেন তিনি।
হুগলির প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের ফাঁকে জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই দলের প্রায় হাফ ডজন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের ভর্ৎসনা করেন তিনি। জেলার দুই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ও বিধায়ক অসিত মজুমদারকে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘‘আপনারা এমন লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন যাদের ভাবমূর্তি একেবারে ভাল নয়।’’ একই কারণে সতর্ক করে দেন জেলা যুব সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই ভাবে গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদারকে তাঁর কাজকর্মের জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy