শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।—ফাইল চিত্র।
জেএনইউ হামলার প্রেক্ষিতে ফের বাগ্যুগ্ধ শুরু হয়ে গেল রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে। জেএনইউ নিয়ে যিনি এত সরব, যাদবপুরের বিষয়ে তিনি চুপ ছিলেন কেন? নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপরে সোমবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠি চালানোর প্রসঙ্গে টেনে কলকাতা পুলিশকেও এ দিন আক্রমণ করেছেন পার্থ।
রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ-তে হামলা হওয়ার পরেই টুইটারে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও জেএনইউ কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেন তিনি। জেএনইউ-এর হামলাকে ‘ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরব হন জগদীপ ধনখড়। তিনি এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘‘ক্ষমতায় যাঁরা রয়েছেন, (যাঁরা জেএনইউ হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন) দিন পনেরো আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার বিষয়ে তাঁদের নীরবতা যন্ত্রণাদায়ক ভাবে ভয়াবহ।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাকেই যে রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। টুইটারে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এ দিন প্রশ্ন তোলেন— যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা এবং নৈরাজ্য সম্পর্কে একই রকম নিন্দা শোনা গেল না কেন?
আরও পড়ুন: আগামী ১০ বছর কাদের? ফোর্বসের চমকে দেওয়া লিস্টে পিকে-মহুয়া মৈত্র!
রাজ্যপালের এই সব মন্তব্যের কথা উঠতেই শিক্ষামন্ত্রী এ দিন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর প্রতি সম্মান আছে। কিন্তু এ ভাবে যদি চলতে থাকে, তা হলে সত্যিই আমাদের ভেবে দেখতে হবে। এই ভাবে সুসম্পর্ক রাখা যায় না।’’
যাদবপুরের পড়ুয়াদের পাশে তিনি যে সব রকম ভাবেই দাঁড়াচ্ছেন, সে কথাও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সোমবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপরে পুলিশি লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করেছেন পার্থ। সোমবার রাতেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পুলিশ সংযত আচরণ করেনি, পুলিশের ভূমিকা ভাল ছিল না— এ কথা বেশ স্পষ্ট ভাবেই লিখেছিলেন পার্থ। এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে আরও স্পষ্ট করে সে কথা বলেছেন পার্থ। এ রাজ্যে পুলিশকে বার বার যে ভাবে সংযত থাকতে বলা হয়, অন্য কোনও রাজ্যে তেমন হয় না— দাবি করেন পার্থ। তার পরেও কেন পুলিশ লাঠি চালাল? এই প্রশ্ন তুলে এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘বার বার সংযত থাকতে বলা সত্ত্বেও কালকে যদি কোনও ভাবে কেউ কিছু করে থাকে, এটা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। গতকালই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছি।’’
আরও পড়ুন: কাল স্তব্ধ হতে পারে রেল-সড়ক, ধর্মঘট সমর্থন নয়, বললেন মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy