প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত দফতরের নির্দেশে ডায়মন্ডহারবার ডিভিশনে দায়িত্ব নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পদমর্যাদার এক অফিসার। তাঁকে প্রথমে পদে যোগ দিতে জেলা প্রশাসন অসহযোগিতা করেছে বলে পঞ্চায়েত ভবনে অভিযোগ জমা পড়ে। উপরতলার ধমক খেয়ে পরে কাজ যোগ দিয়ে বেতন চালু করলেও ডায়মন্ড হারবার এলাকায় গ্রামীণ রাস্তা তৈরির দায়িত্ব তাঁকে এখনও দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় থাকা এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারই কাজ চালাচ্ছেন। তিনিই তা চালাবেন বলে জেলা প্রশাসনের তরফে সরকারি ভাবে দায়িত্ব পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভবনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ডায়মন্ড হারবারের এক প্রভাবশালী জন প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার কাজ জুনিয়র অফিসারকে দিয়েই করাতে চান। অথচ ওই অফিসারের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত দফতরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই সিনিয়র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, কাজে সমন্বয় থাকছে না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন শুক্রবার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত দফতরের আদেশ মেনে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে কাজে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন বেতন চালু হয়ে গিয়েছে। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ইন-চার্জ হিসেবে কাজ করছেন। উনি যেখানে বদলি হয়েছেন, সেখানে চলে গেলে সমস্যা মিটে যাবে। এর মাঝে পঞ্চায়েত দফতর পুরনো আদেশনামা বদলে দিলে আর সমস্যা থাকবে না।’’
গ্রামীণ সড়ক বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোনও ডিভিশনের চার্জে কোনও অ্যাসিস্ট্যা ন্ট ইঞ্জিনিয়ার থাকতে পারেন না। এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কাজে যোগ দিলে তাঁর সব দেখার কথা। এখানে জোর করে তা আটকে রাখা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে পদে যে ব্যক্তি যোগ্য তাঁকে সেই মর্যাদা দিয়েই কাজ করাতে হবে। সরকারি কাজে গায়ের জোর ফলানো যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy