প্রতীকী ছবি
রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাটি রয়েছে। এ বার প্রত্যন্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চালু হচ্ছে ‘কমিউনিটি রেডিও স্টেশন’। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের সদর-উত্তর চক্রের মহাশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই এফএম রেডিও স্টেশন থেকে নানা ধরনের সরকারি শিক্ষামূলক ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছে। মন্ত্রকের অধীন ‘ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড’ (বেসিল) স্কুল চত্বরে ট্রান্সমিটার বসাবে এবং স্টুডিওর পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে।
প্রকল্প রূপায়ণে শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বিধায়ক তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। স্টেশনটি চালু হলে এফএমেই শোনা যাবে ‘মহাশোল-বাণী’র অনুষ্ঠান। শিক্ষকদের থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাবে পড়ুয়ারা। মিলবে চাষবাস, চিকিত্সা, জীবিকা ও আইনি পরার্মশ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা জনস্বার্থমূলক সচেতনতা প্রচারও হবে রেডিওতে।
কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রচারক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আট বছর লড়াইয়ের পরে রাজ্যে এই প্রথম কোনও প্রাথমিক স্কুলে কমিউনিটি রেডিও স্টেশন চালু হচ্ছে। লাইসেন্স পেলে স্টুডিও তৈরি করতে মাস দু’য়েক লাগবে। আগামী জুলাই থেকে পুরোদস্তুর সম্প্রচার শুরু হয়ে যাবে।’’ মন্ত্রকের কমিউনিটি রেডিও সেল-এর আধিকারিক অমরেন্দ্র রাওয়ের কথায়, “চার মাসের মধ্যে রেডিও স্টেশন চালুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’ রেডিও স্টেশনে ৪০ জন কর্মী (প্রযোজক, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, রিপোর্টার, ক্লার্ক, কমিউনিটি ডেভেলপার) নিয়োগ করা হবে। সরকারি অনুদানের টাকায় তাঁদের সাম্মানিক ও ভাতা দেওয়া হবে।
শালবনির মতো প্রত্যন্ত এলাকায় এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত স্কুলের শিক্ষক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। শালবনির স্কুলের এই রেডিও স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিধি এলাকায় অনুষ্ঠান শোনা যাবে। এই রেডিও স্টেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটও তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের শ্রোতারা এই গ্রামীণ রেডিও স্টেশনের অনুষ্ঠান শুনতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy