ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আঁচ যখন বাড়তে শুরু করেছে, পাহাড়বাসীকে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আমার উপর ভরসা রাখুন।
গত কয়েক বছর ধরে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পাহাড়ে পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। বুধবার দার্জিলিং ম্যালে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে পাহাড়ের মানুষের প্রতি ভরসা রাখার বার্তা দিলেন তিনি।
কেন ভরসা রাখা হবে তাঁর উপর, তার বিভিন্ন কারণও পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমত, জিটিএ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা। তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পর জিটিএ চুক্তির রিভিউ করবে রাজ্য। দার্জিলিংয়ের উন্নয়নের সমস্যাগুলির স্থায়ী সমাধান এবং আরও বেশি করে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্যই চুক্তির রিভিউ করা হবে বলে জানান তিনি।
২০১১ সালের ১৮ জুলাই জিটিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ থেকে চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুসারে ২০১২ সালে জিটিএর প্রথম নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনের পর গঠিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেকদিন আগেই। জিটিএ-র দ্বিতীয় নির্বাচন এখনও পর্যন্ত হয়নি। বর্তমানে জিটিএ চালাচ্ছে প্রশাসনিক বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে অনেক আগেই জিটিএ চুক্তিতে রদবদলের দাবি তুলেছিলেন বিনয় তামাংরা।
জিটিএর স্থায়ীকরণের দাবিও করেছিলেন তাঁরা। জিটিএ নিয়ে খুশি নয় জিএনএলএফও। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে ষষ্ঠ তফসিলের পক্ষেই সওয়াল করেছেন মন ঘিসিংরা। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ মনে করছেন জিটিএ-র রিভিউ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিনয় ও মন উভয়ের দাবিকেই কৌশলে মান্যতা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দ্বিতীয়ত, পাহাড়ে উন্নয়নের জন্য তিনিই যে সব থেকে বেশি আগ্রহী, তা-ও এ দিন বুঝিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের মঞ্চ থেকে এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার ৩৬ টি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং ১৭ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে পাহাড়ের বেশ কিছু প্রকল্প আছে।
পাহাড়ের ১২১ জন যুবক-যুবতীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ঘোষণা করা হয় মঞ্চ থেকে। বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের হাতে চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
তৃতীয়ত, কেন্দ্রের সমালোচনার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ১১টি জনজাতি কেন এখন পর্যন্ত আদিবাসীর মর্যাদা পেল না? তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক আগেই চিঠি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরা এখনও ওদের কাজ করতে পারেনি। এই সরকার চলে গেলে আমরা দ্রুত এটা করে দেব।’’
পাহাড় এর পর কতটা ভরসা রাখবে, সেটা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy