আধার বাতিল নিয়ে নমঃশূদ্র সংগঠনকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আধার কার্ড বাতিল হলে বিচলিত বা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি নমঃশূদ্র সংগঠনকে (পশ্চিমবঙ্গ নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ড) চিঠি দিয়েও জানিয়েছেন।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আধার কার্ড বাতিল সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তাই নমঃশূদ্র সংগঠনের মাধ্যমে তিনি সেই সব ব্যক্তিকে জানাতে চান যাঁরা আধার কার্ড বাতিলের কেন্দ্রীয় সরকারি বার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন কোনও ভাবে বিষয়টি নিয়ে ভয় না পান বা চিন্তা না করেন। রাজ্য সরকার সেই সব মানুষের পাশে রয়েছে বলেও চিঠিতে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে, তাঁরা যে সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতেন, সে রকমই পাবেন। তা বন্ধ করতে দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আধার কার্ড সমস্যা সংক্রান্ত একটি পোর্টাল চালু করা হচ্ছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই পোর্টাল চালু হয়ে যাবে। যাঁরা আধার কার্ড বাতিলের চিঠি পেয়েছেন, তাঁরা এই পোর্টালে সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবেন।
আধার কার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনেক মানুষের কাছে চিঠি পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন ধরেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁদের আধার বাতিল হয়েছে তাঁদের আলাদা কার্ড দেবে রাজ্য। ব্যাঙ্ক বা অন্য কাজে কারও সমস্যা হবে না।’’ আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি কার্ড বাতিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি দেন মমতা।
রাজ্যের কিছু এলাকার মতো আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসে পৌঁছেছে মতুয়া প্রধান বনগাঁতেও। তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতেই তাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে আধার সমস্যার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এই সমস্যা হয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ছিলেন। বৈঠকে শাহ আমাকে এই সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দিয়েছেন।’’
শান্তনু জানান, যাঁদের এমন সমস্যা হয়েছে, তাঁদের একটি ফর্ম পূরণ করে নতুন করে আধার সক্রিয় করার আবেদন করতে হবে। সাংবাদিক বৈঠকে একটি ফোন নম্বর ও ইমেল আইডি-ও সাধারণের জন্য দিয়েছেন শান্তনু। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের যে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এবং ফর্ম পূরণ করে পাঠালে, আমি দায়িত্ব নিয়ে আধার সক্রিয় করে দেব।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আশ্বাসেও উদ্বেগ কাটছে না মানুষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy