আমি সেটিং করি না, কারণ, আমি এ কাজে ফিট নই: মমতা ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং সিপিএম সাম্প্রতিক এমনই এই বৈঠককে ‘সেটিং’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তা নিয়ে আবার প্রতি আক্রমণে গেলেন মমতা। তাঁর পাল্টা দাবি, তিনি সেটিং করতে যান না। বরং তাঁর কাছেই অন্যরা সেটিংয়ের জন্য আসেন।
গত ৫ অগস্ট, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি তরফে এই বৈঠককে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা বলা হলেও, বাম-কংগ্রেস তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ-অনুব্রত যখন জেলে, বিভিন্ন বিষয়ে যখন সিবিআই তদন্ত চলছে, তখন মোদীর সঙ্গে এ বিষয়ে ‘সেটিং’ করতেই দিল্লিযাত্রা মমতার। রাজ্য বিজেপিও খোঁচা দিয়ে বলছে, মোদীর কাছে সিবিআইকে নিরস্ত করার অনুরোধ নিয়েই দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা।
গত ১৪ অগস্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে সভা করতে গিয়ে এ নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। সেই সুর ধরেই বুধবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি বলেন, ‘‘প্রাপ্যের টাকা চাইতে গেলে রাজ্যের স্থানীয় ধাই কিরিকিরিগুলো বলে বেড়ায়, আমি সেটিং করতে গিয়েছি। আমি বলি, আমাকে সেটিং করার জন্য অনেকে বসে থাকে। আমি সেটিং করি না। কারণ, আমি এ কাজে ফিট নই। আমি নিজেকে যেখানে ফিট করতে পারি না, সেখানে আমি নিজে কী করে সেটিং করব? সিপিএমের ৩৪ বছরে অনেক কংগ্রেস নেতাই মাথানত করে দিয়েছে, সেটিং করতে পারিনি বলেই আমি পারিনি। তাই আমার মাথা থেকে পা, এমন কোনও জায়গা নেই যেটা ক্ষতবিক্ষত নয়, যেখানে মারেনি।’’
মমতার অভিযোগ, জিএসটি করে সব টাকা কেন্দ্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাজ্যের ভাগের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো ভিক্ষে চাইছি না, আমাদের ভাগের টাকা চাইছি।’’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই প্রাপ্য টাকা নিয়েই কথা বলতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। কুৎসা করার জন্য সেই বৈঠককেই ‘সেটিং’ তকমা দিয়েছে বিরোধীরা।
এ মাসের দিল্লি সফরে মোট তিন বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তার মধ্যে একটি ৪০ মিনিটের বৈঠকে একান্তে কথা বলেন মোদী-মমতা। এ ছাড়াও নীতি আয়োগের বৈঠক এবং ‘আজাদি কা অমৃৎ মহোৎসব’-এর অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে হাজির ছিলেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy