(বাঁ দিক থেকে) বাবুল সুপ্রিয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন। — ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন ও দুবাই সফরে যাওয়ার আগে মন্ত্রিসভায় যে দফতর রদবদল হবে তা মোটামুটি জানাই ছিল। মঙ্গলবার তাঁর রওনা হওয়ার আগে সোমবার সেই রদবদল সেরে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে দু’টি বিষয় স্পষ্ট। এক, বাবুল সুপ্রিয়র দায়িত্ব কিছুটা কমিয়ে দিলেন মমতা। পাশাপাশিই গুরুত্ব বাড়ল বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। বাবুলের হাত থেকে পর্যটন নিয়ে তা দেওয়া হল ইন্দ্রনীল সেনকে। যে কথা আগেই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অতীতে ইন্দ্রনীলই পর্যটন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বনের পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়কে দেওয়া হল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পুনর্গঠন দফতর।
বাবুলের হাতে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন দফতর ছিল। সেটা থাকছেই। তার সঙ্গে ছিল পর্যটন। এ বার পর্যটনের পরিবর্তে বাবুল পেলেন অচিরাচরিত শক্তি দফতর। অন্য দিকে ইন্দ্রনীল ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী। এ বার অতীতের মতো তিনি পেলেন পর্যটন দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব। প্রদীপ মজুমদারের হাতে পঞ্চায়েত দফতর ছিলই। মন্ত্রিসভায় প্রদীপের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হল সমবায় দফতরের বাড়তি দায়িত্ব। কিছুটা কমে গেল মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়ের গুরুত্ব। তাঁকে সমবায় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দফতর।
এখনও পর্যন্ত দফতর রদবদলের যে খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে দফতরবিহীন হয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের বিধায়ক গোলাম রব্বানির। এত দিন তাঁর হাতে ছিল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। এ বার রব্বানির হাতে গেল পরিবেশ।
মমতা দফতর রদবদল করলেও মন্ত্রিসভায় যে কোনও পরিবর্তন আনবেন না তা আগেই জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে নবান্ন। সব কিছু ঠিক থাকলে কিছু ক্ষণের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তা ঘোষণা করতে পারেন সাংবাদিক বৈঠক করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy