প্রতীকী ছবি
এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল হালিশহরে। ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ চলে। অর্জুন ফিরে যাওয়ার পরে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষেরই কয়েকজন জখম হন।
অর্জুনের অভিযোগ, দলের কর্মীর বাড়িতে হামলা এবং তাঁর গাড়ি আটকানোর ঘটনায় জড়িত তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, গত বছর এই দিনে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছিল অর্জুনের বাহিনী। এ বছরও দলবল নিয়ে অর্জুনকে এলাকায় ঢুকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে হালিশহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে পরিমল কুণ্ডু নামে এক যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, তাঁর বাড়ির লোকেদের মারধর করে এক দল দুষ্কৃতী। তাঁর বৃদ্ধ বাবাকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। বিজেপির দাবি, পরিমল তাঁদের সক্রিয় কর্মী। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
শনিবার দুপুরে অর্জুন পরিমলের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে উল্টো দিক থেকে কয়েকটি গাড়ি রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়ে আটকে দেওয়া হয় অর্জুনের গাড়ি। অভিযোগ, সেগুলি তৃণমূল কর্মীদের। অর্জুন গাড়ি থেকে নেমে এলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। অর্জুনকে গালিগালাজ করা হয়। কেন তিনি এত লোকজন নিয়ে এলাকায় ঢুকেছেন, তা জানতে চাওয়া হয়। পাল্টা অর্জুনও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলে অর্জুনের গাড়ি বের করে দেয়।
পরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে। মারপিট শুরু হয়। পুলিশ এসে দু’পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে অর্জুন এলাকায় ফিরলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে পুলিশের সক্রিয়তায় গোলমাল আর বাড়েনি। অর্জুন বীজপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
বিজেপি সাংসদ বলেন, “তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে আমার দলের কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গাড়ি আটকে আার উপরে হামলার চেষ্টা করেছিল। আমি অভিযোগ করেছি। যদিও পুলিশ-প্রশাসনের উপরে আমার আস্থা নেই। তৃণমূল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাকে খুনেরও চক্রান্ত করেছে ওরা।”
হালিশহরের পুরপ্রধান অংশুমান রায় বলেন, “সাংসদ হয়েও অর্জুন এখনও গুন্ডাগিরি করে যাচ্ছেন। এই দুঃসময়ে মানুষের খাবার সংস্থানের দায়িত্ব তো সাংসদের। তা না করে উনি দলবল নিয়ে এলাকায় দাদাগিরি করতে এসেছিলেন। মানুষ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করেছেন।’’ অর্জুনের বাহিনীর হামলায় তাঁদের কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে দাবি অংশুমানের। অভিযোগ মানেনি বিজেপি শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy