প্রতীকী ছবি।
সংখ্যা বাড়ছে সাইবার অপরাধের। তার মোকাবিলায় এ বারে সাইবার অপরাধের ভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে চলেছে সিআইডি। ইতিমধ্যে ওই বিশেষজ্ঞ নিয়োগের জন্য নবান্ন সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে সাইবার অপরাধের মোকাবিলায় আপাতত ন’জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নেওয়া হবে। তাঁদের অস্থায়ী হিসাবে নিয়োগ করবে সিআইডি। তার জন্য তাঁদের প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা করে সাম্মানিক দেওয়া হবে। অবশ্য ওই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগের জন্য সিআইডির অধীনে থাকা সাইবার অপরাধের তদন্তে সাহায্য করার জন্য থাকা ৪৩টি পদের বিলোপও করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
সিআইডি জানিয়েছে, সাইবার অপরাধের বাড়াবাড়ির মোকাবিলায় এবং তদন্তে গতি আনতে সাইবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগের জন্য তাদের তরফে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পুজোর ঠিক আগে নবান্নের ছাড়পত্র মিলেছে। ৪৩টি পদের বিলোপ করে নতুন ন’টি পদ তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মোবাইল বিশেষজ্ঞ, নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞ, ম্যালওয়ার বিশেষজ্ঞ, ক্লাউড বিশেষজ্ঞ, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশেষজ্ঞ এবং ডিস্ক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। সিআইডি জানিয়েছে, যাঁদের শিক্ষাগত এবং কারিগরি যোগ্যতা থাকবে তাঁদেরই ওই পদে নিয়োগ করা হবে।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধের ধারা বদলে দিয়েছে অপরাধীরা। তার মোকাবিলা করতে বিভিন্ন বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। সেই সাইবার বিশেষজ্ঞ নিয়োগের ছাড়পত্র মিলেছে। এখন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গোটা দেশের সঙ্গেই রাজ্য পুলিশেরও প্রধান চ্যালেঞ্জ এখন সাইবার অপরাধ ঠেকানো। প্রচেষ্টা থাকলেও বেশ কিছু রাজ্যেই অনলাইন জালিয়াতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব স্পষ্ট বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক বা এটিএম জালিয়াতি, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ঘৃণা বা হিংসা ছড়ানো, যৌন হেনস্থা-সহ নানা ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধ হচ্ছে। সেগুলি মোকাবিলা এবং প্রতি জেলায় সাইবার অপরাধের তদন্তের জন্য পৃথক থানা থাকলেও সিআইডির সাইবার সেল বা থানাকেই সব রকম সাহায্য করতে হয়। ফলে সিআইডির উপরে চাপ অনেক বেশি।
অভিযোগ, বিভিন্ন জেলায় সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশ কর্মীদের ঐতিহ্যগত প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নয়। কারণ, পুলিশের যুক্তি, সাইবার অপরাধীরা প্রযুক্তি-সচেতন এবং নিয়মিত ভাবে নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করছে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, ওই বিশেষজ্ঞেরা যেমন তদন্তে সাহায্য করবেন, তেমনই যে সব পুলিশকর্মী বা আধিকারিক এই সেলে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের এ ব্যাপারে ওই বিশেষজ্ঞেরা প্রশিক্ষণও দিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy