—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের জন্য সোমবার পর্যন্ত কলকাতায় আসতে পারেননি নিউ টাউনে খুন হওয়া বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী, মেয়ে এবং তাঁর ভাই। খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় এবং আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসপিন্ড কার তা শনাক্ত না হলেও সাংসদ খুনের ঘটনায় চলতি মাসের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারে সিআইডি। ভবানী ভবন সূত্রের খবর, ওই ঘটনার তদন্ত মোটের ওপর শেষের দিকে। দুই মূল অভিযুক্ত জিয়াদ হাওলাদার এবং সিয়াম বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে আরও সাত জন।
এক তদন্তকারী জানান, এখানে ধৃত দু’জনের নাম থাকবেই চার্জশিটে। বাকিদের নামও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত প্রথম গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ওই দিন পূর্ণ হচ্ছে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। সিআইডির আশা, তার আগেই ওই চার্জশিট জমা পড়বে আদালতে। বাংলাদেশের গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের হাতে পেলে পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
সিআইডি সূত্রের খবর, দেহ শনাক্ত না হলেও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সাংসদ যে নিউ টাউনের আবাসনে খুন হয়েছেন তা প্রমাণ করা যাবে আদালতের কাছে। ওই মামলায় সিসিটিভির ফুটেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাতে সাংসদকে অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই আবাসনে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্তেরা বেরিয়ে এলেও সাংসদকে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ সাংসদকে অভিযুক্তদের সঙ্গে শেষ দেখা গিয়েছে। একই সঙ্গে ওই আবাসনের ঘর থেকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য রক্ত সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই রক্ত উদ্ধার থেকে প্রমাণ করা যাবে যে সেখানে রক্তপাত হয়েছিল। এক তদন্তকারী জানান, ইতিমধ্যে ফরেন্সিকের রিপোর্ট চলে এসেছে, যা চার্জশিট দিতে সাহায্য করবে।
গত ১২ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসেন আনোয়ারুল আজিম। পরের দিন বরাহনগর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ, বরাহনগর থানা তদন্তে নেমে জানতে পারে নিউ টাউনের ওই আবাসনে নিয়ে এসে সাংসদকে খুন করা হয়েছে। জড়িতরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সিআইডি ওই তদন্তভার হাতে নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক জিয়াদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় সিয়ামকে। অন্য দিকে বাংলাদেশের ঢাকা পুলিশ আমানুল্লা ওরফে শিমুল, শেলাস্তি রহমান, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর সহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী, সাংসদের বাল্য বন্ধু পলাতক। গোয়েন্দাদের দাবি, ঘটনার সময়ে শাহিন না থাকলেও বাকিরা ছিল ওই আবাসানে। খুনের পর তারা পালিয়ে যায় এ দেশ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy