Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CID

নিমতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল সিআইডি, পাকড়াও দুই পান্ডা

সিআইডি সূত্রে খবর, বুধবার রাতে তাঁরা নিমতা থানা এলাকার শ্রী দুর্গাপল্লিতে তারক পোদ্দারের বাড়িতে দেন। গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পেয়েছিলেন, ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্রের কারবার চলছে।

ডান দিকে দুলাল সরকার এবং বাঁ দিকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। — নিজস্ব চিত্র।

ডান দিকে দুলাল সরকার এবং বাঁ দিকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৮
Share: Save:

ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় দিব্যি চলছিল অস্ত্র কারখানা। বুধবার রাতে সেই অস্ত্র কারখানায় হানা দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করলেন সিআইডির স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দারা।

সিআইডি সূত্রে খবর, বুধবার রাতে তাঁরা নিমতা থানা এলাকার শ্রী দুর্গাপল্লিতে তারক পোদ্দারের বাড়িতে দেন। গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পেয়েছিলেন, ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্রের কারবার চলছে। সিআইডি-র আধিকারিকদের দাবি, তারক পোদ্দারের ভাড়াটে দুলাল সরকারের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি সদ্য তৈরি করা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। তৈরি হওয়া অস্ত্র কিনতে আসা কারবারিকেও হাতেনাতে পাকড়াও করেন সিআইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি, ৬০ বছরের দুলাল সরকার এবং তাঁর সঙ্গী প্রাণকৃষ্ণ গায়েন পুরনো অস্ত্র কারবারি।

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা খবর পাচ্ছিলেন, নিমতা এলাকায় অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। দমদমের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণকে নজরে রেখে তাঁরা হদিশ পান দুলালের ডেরার। তদম্তকারীদের দাবি, দুলাল নিজেই অস্ত্র বানাতেন। রিভলভার, পিস্তল থেকে শুরু করে ওয়ান শটার বন্দুক বানাতেন দুলাল। দমদম এবং নিমতা এলাকার অপরাধীরাই ছিল দুলালের মূল ক্রেতা। তবে তৈরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা হত প্রাণকৃষ্ণের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন-‘বালিশের তলায় রক্ত দেখে সন্দেহ হয়, তখনও বুঝিনি এ সব ও করেছে!’

বাড়ির মালিক তারক পোদ্দারের স্ত্রী কৃষ্ণা দত্ত পোদ্দার বলেন,‘‘দেড় বছরের একটু বেশি সময় ধরে সস্ত্রিক ভাড়া থাকছেন দুলাল।’’আর তারকের কথায়, ‘‘আমাকে দুলাল বলেছিলেন, তিনি আগে একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন। অবসর নেওয়ার পর কয়েকটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কাজে লাগা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেন।”

আরও পড়ুন: মেচেদা লোকালের সেই দেহ বউবাজারের ব্যবসায়ীর, টাকার জন্যই খুন বলে সন্দেহ

সিআইডি হানার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উত্তর দমদমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,‘‘পুলিশ ওই অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু পুলিশকে খুঁজে বার করতে হবে, এই অস্ত্র কারা কিনত। তা হলেই স্পষ্ট হবে এই অস্ত্র চালানের পিছনে কোনও রাজনৈতিক দল আছে কি না বা পুর নির্বাচনকে সামনে রেখেই ওই অস্ত্র বানানো হচ্ছিল কি না।”

অন্য বিষয়গুলি:

CID Illegal arms Nimta Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy