অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান শিশুটির মা মুমতাজ। নিজস্ব চিত্র
টিকা নেওয়ার পর সাড়ে চার মাসের একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পরেই তার পরিবার সরকারি হাসপাতালের এক নার্সের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে। এমনকি ওই নার্সের কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত নার্সের দাবি, টিকার জন্য নয়, পরিবারের ‘ডাক্তারি’তেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ঘটনা।
শিশুটির নাম আয়াত নুর। গত ২৭ জুলাই তাকে ভাতারের বালসিডাঙা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, টিকা নেওয়ার পরেই সূচ ফোটানোর জায়গাটি লাল হয়ে ফুলে ওঠে। পরে ওই জায়গায় পুঁজ জমতে শুরু করে। অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে এর পর ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি করানো হয় বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে। শিশুটির বাবা-মা আকবর আলি ও মমতাজ খাতুন এরপরই অভিযোগ জানান অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নার্স গার্গী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যদিও গার্গি জানিয়েছেন, টিকা দেওয়ার পর সূচ ফোটানোর জায়গা লাল হয়ে যাওয়া বা ফুলে ওঠার বিষয় অস্বাভাবিক কিছু নয়, বরং এটি একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। তাঁর দাবি, শিশুর বাবা-মা ওই ফুলে যাওয়া জায়গাটিতে বাজার থেকে আনা মলম কিনে লাগিয়েছিলেন। তাতেই সংক্রমিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। এখানে তাঁর কোনও গাফিলতি নেই।
শিশুটি আপাতত বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। সংক্রমিত হওয়ায় তার পায়ে গত ৪ অগস্ট অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে। তার আগে সোমবার শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা-মা ভাতার বিডিও অফিসে যান। ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। মুমতাজ এবং আকবরের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারণেই এমন সংক্রমণ হয়েছে। তাই ভুল চিকিৎসার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ভাতারের বিডিও অরুণ বিশ্বাস অবশ্য ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy