সারদা-সহ বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিত আমানতকারী এবং এজেন্টদের ঝিমিয়ে পড়া আন্দোলনকে ফের চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হল সিপিএম। সিটুর রাজ্য দফতরে শনিবার ‘আমানতকারী ও এজেন্ট সুরক্ষা মঞ্চ’-এর কনভেনশন হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর ওই মঞ্চ প্রতারিতদের টাকা ফেরত এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে অন্তত ১০ লক্ষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই স্বাক্ষরগুলি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংসদ এবং বিধানসভার বিরোধী দলের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সংসদ এবং বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের উপায় নিয়ে আলোচনার দাবিও উঠেছে এ দিনের কনভেনশনে। আর্থিক প্রতারণার তদন্ত করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যত এজেন্সি আছে, সকলের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার দাবিও জানিয়েছেন প্রতারিতরা।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রথম জমানায় সারদা-কেলেঙ্কারি নিয়ে হইচইয়ের পর প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শ্যামল সেন কমিশন গঠিত হয়। বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘শ্যামল সেন কমিশনের রিপোর্ট সরকার এখনও প্রকাশ্যে আনেনি। কিন্তু বলা হয়েছিল, টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গড়া হয়েছে। বাস্তবে ১৪৬ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩৫৪ কোটি টাকা এখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে, যা এত দিনে অন্তত ৪০০ কোটি হওয়ার কথা।’’ আসন্ন পুজো এবং ইদের আগে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তুলেছেন সুজনবাবু।
অর্থলগ্নি সংস্থার দ্বারা প্রতারিতদের হয়ে মামলা লড়ছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এ দিন অভিযোগ করেন, কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না। এই প্রেক্ষিতে আন্দোলন গড়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির পরামর্শ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy