—প্রতীকী ছবি।
নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালির বেড়মজুর ২ ও সন্দেশখালি পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে ভোটের পরে পাকা ঘর করে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দু’টি জায়গাতেই তৃণমূল বাধার মুখে পড়ে। বেড়মজুর ২ পঞ্চায়েতের ১৫০ নম্বর বুথের ঝুপখালিতে নিরঞ্জন সর্দারের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির লোকজন তাঁদের প্রায় আধ ঘণ্টা আটকে রাখে। পুলিশ গিয়ে চার তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় বিজেপি নেত্রী অর্চনা ভুঁইঞা বলেন, ‘‘তৃণমূল গ্রামের দরিদ্র নিরক্ষর মানুষকে বোঝাচ্ছে, তাদের ভোট দিলে ভোটের পরে পাকা ঘর করে দেবে। আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে মেল করে জানিয়েছি।’’ আটকে রাখা তৃণমূল কর্মীদের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (তার সত্যতা যাচাই করেননি আনন্দবাজার)। সেখানে বলতে শোনা যায়, তাঁদের স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দীক মোল্লা পাঠিয়েছেন। সিদ্দীক পরে দাবি করেন, ‘‘ওঁরা ঘরের সমীক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন। তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থার লোক তাঁরা। আমাদের কর্মী কি না, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
একই কারণে গোলমাল ছড়ায় সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের ১৬৫ নম্বর ঘটিপাড়ায়। রবি প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান গণেশ হালদার ভোটের পরেপাকা ঘর দেওয়ার আশ্বাস দেন বলে অভিযোগ। গণেশ পরে বলেন, ‘‘আমাদের এক কর্মীর বাড়ি গিয়েছিলাম’’— এটুকু বলেই ফোন কেটে দেন। সন্দেশখালির বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা বলতে গিয়েছিলেন, বিজেপি ঘরের টাকা দিচ্ছে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরের টাকার ব্যবস্থা করবেন। এর মধ্যে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কিছু নেই।’’ বাঁকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারী এ দিন বলেন, ‘‘আজ সকালেসন্দেশখালিতে গিয়েছিল, ভুয়ো ফর্ম নিয়ে। ডিসেম্বরে বলছে ঘরের টাকা দেব। ফর্ম পাঠাচ্ছে। মানে, আগে ভোটটা দিন। এলে বেঁধে রাখবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy