আনন্দে নেই বোস নিজেও! গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
উত্তম কুমার অভিনীত ‘ছদ্মবেশী’ ছবিতে মান্না দে-র গাওয়া বিখ্যাত গান মনে পড়ে? ‘আমি কোন পথে যে চলি, কোন কথা যে বলি!’ অধুনা বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাজকর্ম দেখে অনেকেরই সেই গানটির কথা মনে পড়ছে।
এই রাজ্যপাল নবান্নের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন, তো ওই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ‘কাজের সম্পর্ক’ দারুণ! এই তাঁকে পাশে বসিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, রাজভবন-নবান্ন-বিকাশ ভবন একসঙ্গে কাজ করবে, তো ওই রাজভবন শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চালাতে শুরু করেছে! এই রাজ্যপাল বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সে সব বাইরে বলার নয়’’, তো ওই রাজভবনে পঞ্চায়েত সন্ত্রাসের অভাব-অভিযোগ শুনতে ‘শান্তিকক্ষ’ খুলে বসছেন!
রাজ্যপাল হিসাবে সিভি আনন্দ বোস বাংলায় এসেছিলেন ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর। শপথ থেকেই তিনি বিতর্কে। জুন মাসের মাঝামাঝি তাঁর মেয়াদ সবে যখন সাত মাসে পড়ছে, তখন দেখা যাচ্ছে, বিতর্ক বোসের প্রায় ‘ছায়াসঙ্গী’ হয়ে গিয়েছে। কখনও তিনি শাসকের রোষে, কখনও আবার বিরোধীদের অভিযোগের কাঠগড়ায়। অনেকে অবশ্য বলছেন, ‘আদর্শ’ রাজ্যপালের এমনই হওয়া উচিত। যে, তিনি সকলেরই রাজ্যপাল। কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। তিনি হবেন ‘জনতার রাজ্যপাল’। সে কারণেই কোথাও গোলমাল দেখলেই তিনি সেখানে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। জনতাকে ‘অভয়’ দিচ্ছেন। অনেকের মতে, এই ভাবে তিনি জনতার ‘ক্ষোভের বাষ্প’ বার করে দিচ্ছেন।
তবে শাসক তৃণমূল মনে করছে, রাজ্যপালের সমস্ত কাজই ‘ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিত’। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‘বিজেপির পাঠানো লোক হিসাবে আসল সময়ে বিজেপির কথা মতো আচরণই করেন এবং করবেন। মাঝেমধ্যে স্থিতু হয়ে বসে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। কিন্তু সেটা ওঁর আসল লক্ষ্য নয়। আমি তাই প্রথম দিন থেকেই ওঁর সম্পর্কে কিছু বললে ‘এখনও পর্যন্ত’ কথাটা বলে এসেছি।’’ কুণালের সংযোজন, ‘‘কখনও কখনও নবান্নকে সহযোগিতার ভান করলেও আসলে উনি বিজেপির লোক। সেই মতোই কাজ করেন।’’
ঘটনাচক্রে, রাজ্যপালকে নিয়ে সিপিএমের বক্তব্যও মোটামুটি এক। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানান, প্রথম থেকেই তিনি রাজ্যপালকে নিয়ে এতটাই ‘বীতশ্রদ্ধ’, যে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষে রাজভবনে কোনও স্মারকলিপিও দেওয়া হয়নি। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই। আনন্দবাজার অনলাইনকে সেলিম বলেন, ‘‘এই প্রথম একজন রাজ্যপাল, যাঁকে আমরা কোনও ডেপুটেশন (স্মারকলিপি) দিইনি। উনি এসে থেকেই বিখ্যাত হতে চাইছেন। আমরা সেটা কেন হতে দেব! আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, হাতেখড়ি দিয়ে শুরু করেছেন, গলায় দড়ি কবে হবে?’’
বিজেপি প্রত্যাশিত ভাবেই দলগত বাবে এতটা কঠোর সমালোচনার পক্ষপাতী নয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উঠতে-বসতে বোসের সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সে পথে হাঁটেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘সকলের কাজের ধরন এক রকমের হয় না।’’ বস্তুত, দলের সঙ্গে যখনই রাজভবনের ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে, সুকান্তকে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাপ্রবাহে তার পরেই রাজ্যপালকে ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরে আবার মত বদলেছেন। তবুও দলের তরফে শুভেন্দুর সমালোচনাকে খানিক ‘আড়াল’ করার চেষ্টাই হয়েছে। কারণ, বিজেপি নেতারা জানেন, বোস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পছন্দের মানুষ’। তাই দলের অবস্থান বলতে গিয়ে সতর্ক শুনিয়েছে মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যপাল অত্যন্ত অনুভুতিপ্রবণ এবং সংবেদনশীল। তিনি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য বদ্ধপরিকর। যেখানে সংবিধান আক্রান্ত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হচ্ছে, প্রত্যেকটা পদক্ষেপেই রাজ্য সরকারের চরম অসহিষ্ণুতা এবং প্রতিহিংসা পরায়ণতা প্রকাশ পাচ্ছে, সেখানেই রাজ্যপাল অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে তাঁর সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করছেন। মানুষের অধিকার রক্ষার্থে কাজ করে চলেছেন।’’ কিন্তু বিরোধী দলনেতা তো অন্য কথা বলছেন? শমীকের জবাব, ‘‘আমি যা বললাম, সেটাই দলের অবস্থান। দলের বক্তব্য।’’
রাজ্যপাল বোসের গত সাত মাসের মেয়াদে অন্তত সাতটি বিষয়ে নবান্নের সঙ্গে তাঁর সংঘাত বেধেছে। তবে মূল বিষয় তিনটি। প্রথমত, নন্দিনী চক্রবর্তীকে ঘিরে। দুই, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে এবং তিন, পঞ্চায়েত নির্বাচন। অথচ, একেবারে প্রথমে হাতেখড়ি পর্বে রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সম্পর্ক এতটাই ভাল ছিল যে, অনেকেই ভেবেছিলেন, তাঁর পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের ‘তিক্ততা’-কে পুরোপুরি মুছে ফেলতে চাইছেন বোস।
হাতেখড়ি পর্ব
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সরস্বতী পুজোর দিন বাংলার রীতি মেনে আনুষ্ঠানিক হাতেখড়ি হয়েছিল রাজ্যপালের। সেই সময়টাকে রাজ্য বিজেপি নবান্ন-রাজ্যপাল ‘মধুচন্দ্রিমা পর্ব’ বলেছিল। যা নিয়ে রাজ্যপালকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করে যান শুভেন্দু। সেন্ট জ়েভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল। বক্তব্যে অটলবিহারী বাজপেয়ী, সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন, উইনস্টন চার্চিল, এপিজে আব্দুল কালামের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মমতাকে এক বন্ধনীতে রেখে প্রশংসা করেছিলেন। শুভেন্দু তার পরেই কড়া টুইট করেন। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হয় সুকান্তকে। সেই সন্ধ্যাতেই ‘সক্রিয়’ হয়ে ওঠেন বোস। সকলকে বুঝিয়ে দেন, তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। সেই মর্মে বিবৃতি জারি করে রাজভবন। শাসকের সঙ্গে সংঘাতের সেই শুরু।
নন্দিনী পর্ব
রাজভবনের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে সমীকরণ দ্রুত বদলে যায় রাজ্যপালের। তিনি নবান্নকে জানিয়ে দেন, নন্দিনীকে চান না। ওই পদে অন্য কাউকে আনা হোক। যদিও রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানটি হয়েছিল মূলত নন্দিনীর উদ্যোগেই। প্রাথমিক ‘ধাক্কা’ কাটিয়ে নবান্ন দিন কয়েক পরে কয়েকটি নাম পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপালের পছন্দ হয়নি। এখনও পর্যন্ত রাজভবনে নন্দিনীর ছেড়ে যাওয়া পদটি শূন্য। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য রাজ্য থেকে নিজের পছন্দের কয়েক জন অফিসারকে নিয়ে এসে কাজ চালাচ্ছেন প্রাক্তন আমলা বোস।
বোস-বসু পর্ব
যে রাজ্যপাল বোস শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে বসে হাসিমুখে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেই এখন বোসের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। ফলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে রাজভবনের একটা জরুরি এবং প্রশাসনিক ভূমিকা থেকেই যায়। তা নিয়েই আপাতত টানাপড়েন এবং সংঘাত তুঙ্গে। রাজভবন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ করছে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছে, আর্থিক বা অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে রাজভবনের সঙ্গে পরামর্শ করে চলতে। যেটা রাজ্য শিক্ষা দফতর মনে করছে ‘অনধিকার চর্চা’। সংঘাত এতটাই গড়িয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজভবনের সিদ্ধান্ত না-মানার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। এমনকি, রাজভবনের সিদ্ধান্ত মানলে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশও দিয়েছে। রাজভবনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পরামর্শও নিচ্ছে ব্রাত্যের দফতর। এর মধ্যেই রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করতে চেয়ে বিল এনেছে রাজ্য সরকার। যদিও সেই বিল এখনও আইনে পরিণত হয়নি রাজ্যপালের সই না-হওয়ায়। যে ব্রাত্য গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছিলেন, ‘‘আমাদের মহামহিম রাজ্যপাল তথা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। এই প্রথম রাজভবনে রাজ্যপালের অনুজ্ঞায় আমি, আমার বিভাগীয় প্রধান এবং সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উপাচার্যকে নিয়ে রাজভবনে বৈঠক করেছি’’, সেই ব্রাত্যই এপ্রিল মাসে বলেছেন, ‘‘রাজ্যপালকে আচার্য চাই না! মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চাই। নৈতিক অর্থে আমাদের কাছে আচার্য মুখ্যমন্ত্রী।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর ব্রাত্য রাজ্যপাল সম্পর্কে বলেন, ‘‘শ্বেতহস্তীর মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন! মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে উপাচার্য ঠিক করছেন! যেখানে-সেখানে চলে যাচ্ছেন! অনুদান দিচ্ছেন!’’
রাজীব পর্ব
আপাতত এই পর্বেই সংঘাত তুঙ্গে। সংঘাতের শুরু রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আনতে চেয়েছিল নবান্ন। কিন্তু দিনের পর দিন রাজীবের নাম অনুমোদন করা সংক্রান্ত ফাইলটি পড়েছিল রাজভবনে। যা থএকে অনেকেই অনুমান করছিলেন, নবান্নের ‘পছন্দ’ রাজীবকে পছন্দ নয় রাজ্যপাল বোসের। পরিস্থিতি বুঝে বিকল্প নাম পাঠিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু আচমকাই রাজীবর নামেই সিলমোহর দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল! যে সূত্রে প্রশ্ন উঠল, মেনেই যখন নেবেন, তখন এতটা সময় ঝুলিয়ে রাখলেন কেন? বিজেপির কোনও কোনও নেতা এমনও বলছিলেন, নবান্নের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ হয়েছে রাজভবনের। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসা এবং সন্ত্রাস কবলিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় আর ক্যানিংয়ে নিজেই চলে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরে রাজীবকে তলব করেছেন রাজভবনে। রাজীব মনোনয়নের স্ক্রুটিনি নিয়ে ‘ব্যস্ত’ থাকায় যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। রাজ্যপাল দ্রুত রাজভবনে ‘শান্তিকক্ষ’ খুলে ফেলেছেন!
সেটাও অবশ্য বিরোধী বা শাসক— কেউই ভাল চোখে দেখছে না। সিপিএমের সেলিমের বক্তব্য, ‘‘শান্তিকক্ষ থেকে তো আসলে বিজেপির কাছে তথ্য যাবে! নেতারা জেনে যাবেন কখন, কোথায় যেতে হবে। যা বুঝেছি, ওঁর সবটাই নাটক। কর্নাটকের পরে নবান্ন-রাজভবন ‘ফর-নাটক’ করছে।’’ আর শাসক শিবিরের কুণাল বলছেন, ‘‘এতই যখন চিন্তা, এত দিন বসে ছিলেন কেন? আগে থেকে নির্বাচন কমিশনারের নামে সিলমোহর দিলে তো পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও ভাল করে নেওয়া যেত। আসলে বিজেপির যেমন কথার ঠিক নেই, তেমন নির্দেশেরও ঠিক নেই। আর তা মানতে গিয়ে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যপাল ।’’
এ ব্যাপারে বিজেপি অবশ্য চুপ। তবে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে দলের দুই প্রধানের দুই মত। শুভেন্দু বলে চলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল চাইলে রাজীবের বদলে অন্য কাউকে কমিশনার করতেই পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে সন্ত্রাস আবহ নিয়ে রাজ্যপালের উদ্বেগ প্রকাশ করা অর্থহীন!’’ আর সুকান্ত বলছেন, ‘‘রাজ্যপাল আমায় আশ্বস্ত করেছেন, ভোট-হিংসা বন্ধ করার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার উনি করবেন। রাজ্যপাল তো আর মাঠে নেমে যুদ্ধ করবেন না! উনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করতে পারেন। সেটা করেওছেন।’’
কিন্তু রাজ্যপাল চলবেন কোন পথে? বলবেনই বা কী! মান্না দে-র গান মনে পড়ছে অনেকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy