গত প্রায় ১১ মাস একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। অথচ একশো দিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ প্রকল্পে টাকা পাওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে ইতিবাচক কোনও বার্তা এখনও পায়নি রাজ্য। বরং প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যের পদক্ষেপ এখনও যে পুরোপুরি ‘সন্তুষ্ট’ করতে পারেনি কেন্দ্রকে, সেই বার্তাই মিলেছে। রাজ্য সরকারের যদিও বক্তব্য, কেন্দ্র যে সমস্ত পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল, তার সবই করা হয়েছে। তার পরেও কেন্দ্রের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গত প্রায় ১১ মাস একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। কিছুদিন আগে সব জেলায় ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। সূত্রের দাবি, তাদের পর্যবেক্ষণ যে সন্তোষজনক নয়, তা রাজ্যের প্রতিনিধিদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকা পাওয়ার ব্যাপারে তাই চটজলদি জটিলতা মেটার খুব একটা আশা করছেন না অনেকে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, “কেন্দ্র যে যে পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল, তার সবই কার্যকর করা হয়েছে। তার পরেও কেন্দ্রের এই আচরণ কার্যত বিমাতৃসুলভ।”
প্রশাসনের অনেকে জানাচ্ছেন, যে সব অভিযোগ উঠেছিল, তার অন্যতম আর্থিক নয়ছয়। প্রকল্পের গুণমান, কিছু ক্ষেত্রে অস্তিত্ব নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। টাকা উদ্ধারে এফআইআরের সুপারিশ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। তা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। প্রকল্পগুলিকে জিও-ট্যাগ করা হয়েছিল কেন্দ্রের পদ্ধতি মেনে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুও কেন্দ্রকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি বলে খবর। ওই প্রকল্পের জবকার্ডধারীদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে এ পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করতে হয়েছে রাজ্যকে।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, ফোনে সময় দেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বক্তব্য, “একাধিক বার চেষ্টা হয়েছিল। শেষে যখন সময় পাওয়া গেল, তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর আরোগ্য কামনায় বার্তাও পাঠিয়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy