ফাইল চিত্র।
প্রতি বছরেই একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার সময় বেশ কিছু পড়ুয়া বিষয় বদল করেন। তবে প্রতি বছরেই বোর্ডের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ায় তাঁদের মূল্যায়ন নিয়ে বাড়তি কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু করোনার দরুন এ বার দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বিষয় বদল করা ছাত্রছাত্রীদের কী ভাবে নম্বর দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে ওই পড়ুয়াদেরও নম্বর দেওয়ার ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিবিএসই বোর্ড। যে-সব পড়ুয়া পরীক্ষা দেননি, তাঁদের ফল প্রকাশের নিয়মও জানানো হয়েছে।
সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির নম্বর গণনার ক্ষেত্রে এ বছর দশম ও একাদশ শ্রেণির নম্বরের ৩০ শতাংশ এবং দ্বাদশের নম্বরের ৪০ শতাংশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জানানো হয়েছিল, একাদশের নম্বর গণনার ক্ষেত্রে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার সময় কোনও বিষয় বদল করা হলে সেই বিষয়ের সাপেক্ষে একাদশ শ্রেণিতে সর্বাধিক নম্বর পাওয়া তিনটি বিষয়ের গড় নেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বহু পড়ুয়া দ্বাদশে সব ক’টি অথবা প্রায় সব ক’টি বিষয় বদল করেছেন।
এই ধরনের পরিবর্তনের জন্য বোর্ডের অনুমোদন দরকার। বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই অনুমোদন আগে থেকেই নেওয়া ছিল। এখন আর নতুন করে কোনও রকম অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ওই পরীক্ষার্থীদের নম্বর গণনার ক্ষেত্রে শুধু একাদশ শ্রেণিতে যে-সব বিষয় তাঁরা পড়েছেন, সেগুলির মধ্যেই সেরা তিনটি বিষয়ের গড় নম্বর
নিতে হবে।
স্কুলগুলি বোর্ডকে জানিয়েছিল, অনেক ছাত্রছাত্রীর নাম নথিভুক্ত থাকলেও তাঁরা পরে নানা কারণে পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেননি। স্কুলের তরফেও তাঁদের সঙ্গে পরীক্ষার জন্য যোগাযোগ করা যায়নি। অনেকে স্কুল ছেড়ে দিয়েছেন। স্কুল থেকে নাম কাটা গিয়েছে কারও কারও, অতিমারিতে মৃত্যুও হয়েছে কয়েক জনের। বোর্ড জানিয়েছে, এই ধরনের পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে নামের পাশে 'অনুপস্থিত' লিখতে হবে। প্রাপ্ত নম্বরের জায়গায় শূন্য বা অন্য কিছু লেখা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy