আরজি কর-কাণ্ডের ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাদের তরফে জানানো হল, কলকাতা পুলিশের দেওয়া ওই ফরেন্সিক রিপোর্ট তারা দিল্লির এমসে পাঠাতে চায়। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক নমুনা কে সংগ্রহ করেছে , তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা দাবি করেছে, ঘটনাস্থল থেকে কে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করেছে, সেই বিষয়টিও ‘গুরুত্বপূর্ণ’। সিবিআই শীর্ষ আদালতে আরও দাবি করেছে, এই ধরনের ঘটনার পর প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারা পাঁচ দিন পরে গিয়েছে ঘটনাস্থলে। তখন কিছু কিছু ‘পাল্টে গিয়েছে’ বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি।
সিবিআইয়ের হয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সওয়াল করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সিবিআইয়ের হয়ে তিনি আদালতে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট রয়েছে। একটা বিষয় বলা হয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টায় যখন মেয়েটির দেহ মেলে, তখন তাঁর জিন্স এবং অন্তর্বাস খোলা ছিল। সেগুলো পাশে পড়েছিল। অর্ধনগ্ন শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারা (কলকাতা পুলিশ) নমুনা নিয়েছিল। তারা পশ্চিমবঙ্গের সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এ পাঠিয়েছিল সেই নমুনা। সিবিআই ওই নমুনা এমস এবং অন্য কিছু গবেষণাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
যদিও ঠিক কী নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি সিবিআইয়ের আইনজীবী। তবে তিনি বলেন, ‘‘লোকজন প্রবেশ করছিল। নির্যাতিতা নগ্ন ছিলেন। এটাই এফএসএল (ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি)-এর ফলাফল। তাই কে নমুনা সংগ্রহ করেছিল, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাই ওই সব নমুনা এমস বা অন্য কোনও ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।’’ সিবিআই এ-ও দাবি করেছে, ঘটনার পর প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আইনজীবী বলেন, ‘‘এমন ঘটনার পর প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা পাঁচ দিন পরে গিয়েছি। তখন কিছু কিছু পাল্টে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
ঘটনার দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআই পেয়েছে কি না, সোমবার সে প্রশ্নও করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর কথায়, ‘‘আরজি করের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে প্রবেশ করতে এবং বার হতে দেখা গিয়েছিল। ফলত, ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ফুটেজ থাকার কথা। ওই ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল?’’ সিবিআই জানিয়েছে, মোট ২৭ মিনিটের চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে তাদের। রাজ্য জানিয়েছে, তদন্ত সংক্রান্ত যা যা তথ্য তাদের কাছে ছিল, সবই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।