ডালহৌসি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সদর দফতরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
গত কয়েক দিনের মতোই, সোমবারও রাজীব কুমারের খোঁজে হন্যে হয়ে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াল সিবিআই। এমনকি, ডালহৌসি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সদর দফতরেও যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
তবে কী কারণে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ওই ব্যাঙ্কের সদর দফতরে গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে কেউ মুখ খোলেননি। যদিও একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেই সিবিআই ওই ব্যাঙ্কের সদর দফতরে পৌঁছেছিল। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ থাকার পর তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সে চলে যান।
অন্য দিকে, এ দিন ফের পার্ক স্ট্রিটে রাজীব কুমারের বাসভবনে যান গোয়েন্দারা। রাজীব কুমার কোথায় রয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমারের কাছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি জায়গাতেও হানা দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: এ বার আগাম জামিনের আবেদন হাইকোর্টে, রোজভ্যালি-কাণ্ডে সময় চাইলেন রাজীব
আরও পড়ুন: রাজীবের ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তি! মেয়াদ শেষে কী করবেন ‘পলাতক’ গোয়েন্দা প্রধান, দেখতে চায় রাজ্যও
শুধু কলকাতাতেই নয়, রাজীবের খোঁজে জেলা এবং শহরতলিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত ১০ দিনে রাজীবের কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের সন্ধান না মিললেও, হাল ছাড়তে নারাজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। রাজীব কুমার অন্তরালে থাকলেও, তিনি রোজভ্যালি-কাণ্ডে নোটিসের যেমন জবাব দিচ্ছেন, তেমনই আদালতের নথিপত্রেও সই করছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজীব কুমারের আগাম জামিনের শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy