প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
‘পিকচারে’ থাকতেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আড়াল থেকে নাড়তেন কলকাঠি। আদালতে তাঁর কীর্তি বিস্তারিত জানাল সিবিআই। তাদের দাবি, কাকে কোন পদে নিয়োগ করা হবে, কাকে কোন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, পার্থই ঠিক করতেন। তবে এমন ভাবে সব পরিকল্পনা করতেন, যাতে তিনি নিজে ‘পিকচারে’ না থাকেন।
শনিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জানানো হয়, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কাকে নিয়োগ করা হবে, কাকে সরানো হবে, পার্থ সেই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন। যাঁরা এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন না, তাঁদের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোপে পড়তে হত। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত তাঁদের।
সিবিআই জানিয়েছে, পার্থ নিজের বাড়িতে বৈঠক করে অনেককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘দুর্নীতির সম্পূর্ণ ছবিতেই রয়েছেন পার্থ। অপরাধ তিনি এমন ভাবে করতেন, যাতে নিজে পিকচারে না থাকেন।’’ আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা এমন একটা বিষয়, যা সমাজ গঠন করে। চিকিৎসক কোনও ভুল করলে রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এঁরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছেন, তাতে সমাজ কোন দিকে যাবে, ঠিক নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’’
পার্থের আইনজীবী অবশ্য সিবিআইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের দ্বিতীয় চার্জশিটেও পার্থের নাম ছিল না। তৃতীয়তে সিবিআই এসএসসি-র এক মহিলা চেয়ারম্যানকে দেখিয়েছে। তাঁকে পার্থ বকাবকি করেছেন। কেন বকাবকি, সেই কারণও দেখানো হয়নি।’’ পার্থ যাঁদের সরিয়েছেন বলে সিবিআই দাবি করছে, পরে তাঁদেরই বাগ কমিটির রিপোর্টে বা খোদ সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে বলে জানান পার্থের আইনজীবী। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ চার্জশিট এখনও সিবিআই দেয়নি বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy