—প্রতীকী ছবি।
চাকরির জন্য জাল জাতিগত শংসাপত্র দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের দফতরে একটি চক্র সক্রিয় বলে দাবি করেছেন সিবিআই কর্তারা।
সম্প্রতি মেডিক্যাল পরীক্ষায় এই জাল শংসাপত্র নিয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সিবিআই সূত্রের দাবি, জাল জাতিগত শংসাপত্র মারফত এক পাকিস্তানি ভারতের একটি আধা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করছেন বলে গত অগস্টে কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে আদালত সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরে ২০২৩-এর অগস্টে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। ওই ঘটনাতেই শনিবার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, বসিরহাট পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার বাড়িতে তল্লাশি ও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের দাবি, এই ব্যক্তি বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে কর্মরত। জাল জাতিগত শংসাপত্র তদন্তে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। শনিবার তাঁকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নতুন তথ্য হাতে এসেছে বলেও দাবি করেছেন সিবিআইয়ের এক কর্তা।
তদন্তকারীদের দাবি, শুধুমাত্র আধা সামরিক বাহিনীর চাকরির পরীক্ষা নয়। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি চাকরি এবং মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ওই জাল জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি মেডিক্যালের এক পরীক্ষার্থী সেই সংক্রান্ত অভিযোগ কলকাতা হাই কোর্টে করলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। যদিও তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে এবং বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন।
তদন্তকারীদের দাবি, ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দারাও এ রাজ্য থেকে জাল জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে তা ব্যবহার করে বিভিন্ন নিয়োগ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy