গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিক শিক্ষকের পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই। ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৭টি হার্ড ডিস্ক তারা পাঠাতে চলেছে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সিডিএসি)-এ। ওই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাটিতে হার্ড ডিস্কগুলি পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। আদৌ তা থেকে তথ্য উদ্ধার সম্ভব কি না, যাচাই করে দেখা হবে। ওএমআরের তথ্য উদ্ধার করতে সব রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, হার্ড ডিস্কের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজন হলে ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির সাহায্যও নেওয়া হতে পারে। ওই হার্ড ডিস্কগুলির তথ্য নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। হার্ড ডিস্ক ‘ক্র্যাশ’ করে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকে ওএমআরের তথ্য আর উদ্ধার করা যাবে না বলেই মনে করা হয়েছিল। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে তারা যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে ছিলেন সিডিএসি-র আধিকারিকেরাও। তাঁরা জানিয়েছিলেন, হার্ড ডিস্কের কোনও তথ্য মুছে ফেলার পর তাতে যদি আবার কিছু লেখা না হয়, তবে সেই তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব। সে সব যাচাই করে দেখতেই সিডিএসি-র মূল দফতরে পাঠানো হচ্ছে হার্ড ডিস্কগুলি। ৪৭টি হার্ড ডিস্ক পুণেতে পাঠানো হতে পারে।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় দীর্ঘ দিন ধরেই ইডি এবং সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে এস বসু রায় সংস্থাটি। ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিট স্ক্যানিং এবং মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল তারা। কিন্তু ওএমআর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই তারা নষ্ট করে ফেলে। যা প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার তদন্তের জন্য ‘অত্যন্ত জরুরি’ বলে জানিয়েছিল সিবিআই।
ওএমআর তথ্যের সন্ধানে নেমে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল, যে সার্ভারে ওএমআর স্ক্যান করে রাখা হয়েছিল, সেটি ২০১৭ সালে বদলে ফেলেছিল সংস্থাটি। সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করায় তা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান। সেই নির্দেশ পালন করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআইকে পাল্টা বলে, ডিজিটাইজ়়ড তথ্য কখনও নষ্ট হয় না। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই। কিন্তু তথ্য উদ্ধার করতে হবে। হাই কোর্টের ওই নির্দেশের পরে গত ৯ জুলাই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায়-এর দফতরে গিয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। টানা কয়েক দিনের অভিযানে ৩৫টির বেশি হার্ড ডিস্ক এবং দু’টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে। সেখান থেকেই তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy