Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Primary Recruitment Case

বিকাশ ভবনের পর এ বার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরেও গেল সিবিআই, কিসের খোঁজে?

সল্টলেকের এপিসি ভবনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে হানা দিল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে এই অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে এই মামলায় তারা বিকাশ ভবনেও গিয়েছিল।

সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে সিবিআই।

সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে সিবিআই। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৩
Share: Save:

সল্টলেকের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে (এপিসি ভবন) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে হানা দিল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে এই অভিযান। এর আগে তদন্তের স্বার্থে বিকাশ ভবনেও গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বৃহস্পতিবার তাদের আধিকারিকেরা এপিসি ভবনে হাজির হয়েছেন। সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। কিসের সন্ধানে সিবিআই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে এই অভিযানের সম্পর্ক রয়েছে বলে খবর।

প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় এর আগে গত মাসে পর পর দু’বার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানে একটি গুদামে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু নথিপত্র। গুদামটি তালাবন্ধ ছিল বলে খবর সিবিআই সূত্রে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা গুদাম থেকে নথি উদ্ধার করে খতিয়ে দেখেছেন। সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত বিকাশ ভবনের ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই।

এর পর চলতি মাসে প্রাথমিক মামলার তদন্তে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে একাধিক বার হানা দেয় সিবিআই। ২০১৪ সালের প্রাথমিকের উধাও হওয়া উত্তরপত্র বা ওএমআরের খোঁজে ওই দফতরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক হার্ড ডিস্ক এবং সার্ভার। সিবিআই সূত্রে খবর, ওএমআর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্যই বৃহস্পতিবার এপিসি ভবনে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কিছু দিন আগে একটি বিশেষ নির্দেশে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআরের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয়, তবে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সাহায্য নিতে পারে। সেই নির্দেশের পর তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয় এমন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে গিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ দল। পর পর কয়েক দিন সেখানে তল্লাশি চলেছে। এ বার সেই ওএমআর সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে সিবিআই গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE