নিজস্ব চিত্র
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র অভিযোগে ডোমজুড় থেকে সিবিআই গ্রেফতার করল দু’জনকে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে হাওড়ার ডোমজুড় থেকে একাধিক হিংসার অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডোমজুড় থানার রাজীব পল্লীতে আগেও গিয়েছিল সিবিআই। অভিযোগ ছিল, ২ মে রাতে সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়, মহিলাদের ধর্ষণও করা হয়। তারপর অনেক বিজেপি কর্মীই ঘরছাড়া। সেই ঘটনাতেই সোমবার প্রথমে ছ’জনকে আটক করে সিবিআই। পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি কোচবিহারে বিজেপি কর্মী হারাধন রায় খুনের তদন্তে নেমেও ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসাবে রেজাউল হককে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ পেটলা গ্রামে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল। তবে গ্রেফতার হওয়া রেজাউলের পরিবারের অভিযোগ, মধ্যরাতে হঠাৎ হানা দেয় সিবিআই। বাড়ির জিনিসপত্র নষ্ট করে। রেজাউলের স্ত্রী বলেছেন, ‘‘হারাধনের খুনের দিন আমরা বাইরে ছিলাম। পুলিশ গ্রেফতার করার পরও তাই আমার স্বামীকে ছেড়ে দিয়েছে। ও খুনের সঙ্গে যুক্ত নয়। সিবিআই জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে।’’
ডোমজুড়ের ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘এ সবের পিছনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে। এই ছ’জন রাজ্য পুলিশের করা অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার বলেও পরে জামিন পায়। রাজীব পরে ইচ্ছা করে এই নামগুলো সিবিআই-এর কাছে দিয়েছেন। নতুন করে কেস করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীলতা করা হচ্ছে। সেই কারণেই আমি প্রতিবাদ করে টুইট করেছি। রাজীব এক দিকে তৃণমূলের প্রতি বিগলিত প্রেম দেখাচ্ছেন, আমাদের কেউ কেউ সেই প্রেমে গলে যাচ্ছেন। এদিকে রাজীবই আমাদের ছেলেদের গ্রেফতার করাচ্ছেন। আমি এটা প্রথম থেকেই বলছি।’’
অভিযোগ নিয়ে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেছেন, ‘‘আইন আইনের পথেই চলবে। আজ সিবিআই-এর তদন্তের পর এটা প্রমাণিত হয়েছে যে বিজেপি-র অভিযোগ সঠিক ছিল। ভোটের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করা হয়েছে। অত্যাচার চালানো হয়েছে। আজ সে কথাই প্রমাণিত হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy