ধৃত: সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গ্রেফতারের পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কৌস্তুভ রায় এবং শিবাজি পাঁজাকে (ডান দিকে)। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় শিবাজি পাঁজা ও কৌস্তুভ রায়কে বৃহস্পতিবার সেখানেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার আগে কয়েক দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দুই ব্যবসায়ীকেই।
শিবাজিকে এক সময়ে নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা যেত। বছর তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বাংলাদেশে যান শিবাজি। ফেরার সময়ে বিমানবন্দর থেকে তাঁকে অন্য একটি প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। পরে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। চিরাগ কম্পিউটারের মালিক এই দুই যুবক ব্যবসায়ীর অধীনে বাংলা মিডিয়া চ্যানেলও ছিল। কৌস্তুভ কয়েকটি বাংলা ছবি প্রয়োজনাও করেছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, কানাড়া ব্যাঙ্কের ক্যামাক স্ট্রিট শাখার অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। জাল নথি জমা দিয়ে শিবাজি ও কৌস্তুভ তাঁদের মূল সংস্থা আরপি ইনফোসিস্টেমের নামে ১০টি ব্যাঙ্ক নিয়ে তৈরি গোষ্ঠীর কাছ থেকে ৫১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। কম্পিউটার ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ প্রস্তুতকারী সংস্থা হিসেবে ব্যাঙ্কের কাছে যে-নথি পেশ করে ওই দুই ব্যবসায়ী ঋণ নিয়েছিলেন, তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের। এই মামলায় ওই দু’জনের সঙ্গে রয়েছে সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর বিনয় বাফনা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবনাথ পালের নামও।
তদন্তকারীদের কথায়, ২০১২ সালে ওই দুই ব্যবসায়ীকে ১০টি ব্যাঙ্ক নিয়ে তৈরি গোষ্ঠী যে-খাতে ঋণ দিয়েছিল, সেই খাতে টাকা খরচ না-করে অন্য খাতে টাকা খরচ করেন তাঁরা। অভিযোগ, দুই ব্যবসায়ী সেই টাকায় বিভিন্ন এলাকায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন বলে জানান তদন্তকারীরা। এমনকী বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে তাঁরা কেনাবেচা করেছেন বলে যে-নথি ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিলেন, তদন্ত শুরু হতে সেই সব সংস্থা জানিয়ে দেয় যে, তাদের সঙ্গে আরপি ইনফোসিস্টেমের কোনও রকম লেনদেনই হয়নি।
গত দু’সপ্তাহে ওই দুই ব্যবসায়ীকে কখনও আলাদা ভাবে আবার কখনও মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, ব্যাঙ্কে জাল নথি পেশ করে আর্থিক প্রতারণার বিষয়ে কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি ওই দুই ব্যবসায়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy